রাজনৈতিক বিবেচনায় তড়িঘড়ি প্রকল্প
পাবনায় হাজার কোটি টাকায় নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে সাবেক এক মন্ত্রীর ইচ্ছায়। কিন্তু সেই রেললাইন দিয়ে দিনে মাত্র একটি ট্রেন চলাচল করে। লোকবলের অভাবে স্টেশনও ঠিকমতো চলছে না।
একই দশা ডেমু ট্রেনের। সমীক্ষা না করে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের সময় অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে চীন থেকে ২০ সেট ডেমু কেনা হয়। পাঁচ বছর না যেতেই অর্ধেকের বেশি ডেমু অকেজো হয়ে পড়ে। মেরামতের অবকাঠামো না থাকায় সেগুলো সচল করা যাচ্ছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ মিশ্র গেজে রূপান্তর করলে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ—দুই ধরনের ট্রেনই চলতে পারে। গত এক দশকে নতুন লাইন নির্মাণের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে মিটারগেজের। এখন মিশ্র গেজের জন্য আবার প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। শুরুতে মিশ্র গেজ করলে বারবার প্রকল্প নেওয়া লাগত না। প্রকল্প নিলেই কর্মকর্তাদের লাভ—এমন ভাবনা থেকেই ‘ইচ্ছাকৃত’ এই গলদ বলে মনে করছেন রেলের কেউ কেউ।