ক্রয় করা জমি চাষাবাদ করতে পারছেন না বৃদ্ধ
বরগুনার তালতলীতে ক্রয়করা জমি চাষাবাদ করতে পারছেন না সোহরাফ গাজী নামের এক বৃদ্ধ। প্রভাবশালীদের কাছ থেকে নিজের জমি মুক্ত করতে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।গতকাল বেলা ১১ টার দিকে তালতলী সাংবাদিক ফোরামে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন সোহরাফ গাজীসহ তার পরিবার। উপজেলা হওয়ার আগে আমতলী উপজেলাধীন থাকাকালীন সময় প্রায় ১৪ বছর আগে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের জকির তবক এলাকার মৃত চান মিয়া ও তার ছেলে মনিরের কাছ থেকে ৫৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন একই সোহরাফ গাজী। শুরু থেকে জমি চাষাবাদ করতে দিলেও বিগত ৪ বছর ধরে জমিতে চাষাবাদ করতে বাধা দেয় চান মিয়ার ছেলে মনিরসহ তার ভাইরা। পরে সোহরাফ গাজী আইনের আশ্রয় নিয়ে জমি বুঝে পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ দিলে সালিশি মীমাংসার মাধ্যমে জমি চাষাবাদসহ বুঝিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেন মনিরসহ তার ভাইরা। কিন্তু পরবর্তীতে জমি বুঝিয়া না দিতে বিভিন্ন তালবাহানা করেন মনির। মনির ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সোহরাফ গাজীর পরিবারসহ সবাইকে তার ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে রামদা, ছেনা, লাঠি নিয়ে মারধর করেন ও পরবর্তীতে খুন করার হুমকি দেয়। এমনকি সোহরাফ গাজী তার ৩৩ শতাংশ জমি চাষ করলেও সেই জমির ফসল নষ্ট করে ফেলে মনির। এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয় মনির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এদিকে জমি ফিরে পাওয়ার জন্য বৃদ্ধা সোহরাফ গাজী ও তার পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ও থানায় ঘুরছে। তাদের অভিযোগ এসব জায়গায় গেলেও সঠিক বিচার পাচ্ছে না। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে সঠিক বিচার ও শান্তিপূর্ণভাবে জমি চাষাবাদ যাতে করতে পারে তার প্রার্থনা করেন তিনি। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হাওলাদার সোহরাফ গাজী দলিল করছেন এটা সত্যি। কাগজপত্রে সোহরাফ গাজী জমি পাবে মনিরের কাছে। কিন্তু মনির জবরদখল করে জমি ভোগ করছে। সোহরাফ গাজীর তার জমিতে চাষাবাদ করলেও সেই জমির ফসল নষ্ট করে দেন তারা। এ নিয়ে এলাকায় অনেকবার সালিশি মীমাংসা হয়েছে কিন্তু মনির জমি ছাড়তে রাজি নয়।