কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মুরাদনগরে সরকারি খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

মানবজমিন মুরাদনগর প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

নদী-খাল রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও থেমে নেই প্রভাবশালী দুষ্টচক্ররা। এমনিভাবে দখলদার সিন্ডিকেটের কবলে কুমিল্লার মুরাদনগরের সরকারি খাল। মুরাদনগর উপজেলার আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন হায়দরাবাদ মৌজার খাস খতিয়ানের খাল দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করছে না দখলদার সিন্ডিকেট। ইতিপূর্বে মুরাদনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকারি খাল দখলে জড়িত ছয় ব্যক্তিকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নোটিশ দিলেও তা গত ১১ মাসেও কার্যকর হয়নি। বরং চক্রটি দীর্ঘ এ সময়ের মধ্যে প্রশাসনে চোখ ফাঁকি দিয়ে ধীরে ধীরে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে আসছে। ইদানীং চকিরিট স্থানীয় সংসদ সস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুণের নাম ব্যবহার করে সরকারি খালের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ বৈধ করতে চাইছে। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্য এসবের কিছুই জানেন না। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হায়দরাবাদ সামছুল হক কলেজের সীমানা-ঘেঁষে চলমান একটি খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে ওই এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে খাল দখল করে ভবন নির্মাণের শুরুতেই বাধা দেন আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ভূমি অফিসের লোকজন। পরে বাঙ্গরা থানা পুলিশ এসেও ভবন নির্মাণে বাধা দেয়। এরপর মুরাদনগরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল সরকারি খাসের জায়গায় কাজ বন্ধসহ নির্মাণাধীন স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশও দিয়েছেন দখলদারদের। কিন্তু কোনো কিছুতেই তোয়াক্কা করেনি দখলদাররা। বেশ কয়েক মাস বন্ধ রাখার পর গত ৫/৬ দিন ধরে সরকারি খালের জায়গায় পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে দখলদাররা। গত ২৩শে আগস্ট দখলদার চক্রটি স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের মুখে শুনে দুপুরে সেখানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আন্দিকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিলেও সন্ধ্যার পর থেকে ফের কাজ শুরু করে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সরকারি জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। আমি কাজ বন্ধ রাখার কথা বলি এবং ইতিপূর্বে এসিল্যান্ড স্যারের দেয়া নোটিশের বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেই তাদেরকে। তারা আমাকে বলে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে নাকি এখানে কাজ করছে। আমি অনুমতির কাগজ দেখতে চাইলে বলে মৌখিক অনুমতি দিয়েছে। পরে তারা কাজ বন্ধ রাখে। আসলে এমপি মহোদয় এসবের কিছুই জানেন না। ওনার নাম ব্যবহার করে দখলদাররা কাজ করতে চাইছে। শুনেছি এখন তারা দিনের বদলে সন্ধ্যার পর কাজ করে। আমি বিষয়টি আমাদের এসিল্যান্ড স্যারকে অবগত করেছি।’ মুরাদনগরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, ‘ইতিপূর্বে দখলদারদের নোটিশ করা হয়েছিল। ১৯৭০ সালের অধ্যাদেশের ৫ ও ৬ ধারা অনুযায়ী হায়দরাবাদ মৌজার খাস খতিয়ানের ওই সরকারি জায়গা কোন অবস্থাতেই কাউকে দখলে রাখতে দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে দখলদার যে-ই হোক তাদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও