কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

জেটিতে জাহাজ কাত বড় বিপদ থেকে রক্ষা

দৈনিক আজাদী চট্টগ্রাম বন্দর প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২০, ০৫:৪৪

.tdi_2_f0b.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_f0b.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});কন্টেনার বোঝাই একটি বিদেশী জাহাজ ভারসাম্য হারিয়ে বন্দরের জেটিতে কাত হয়ে পড়ার ঘটনায় ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কোনো বিপর্যয় সৃষ্টি না হলেও পুরোদিন চেষ্টা করেও জাহাজটিকে সোজা করতে না পারায় উদ্বেগের মাত্রা বেড়েছে। জাহাজটিকে সোজা করার জন্য বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটরের নেতৃত্বে একটি টেকনিক্যাল টিম কাত করছে। কিন্তু কন্টেনার নামানো থেকে শুরু করে নানাভাবে চেষ্টা করেও কাত হয়ে পড়া জাহাজটিকে সোজা করা সম্ভব হয়নি। জাহাজটিকে ঘিরে উদ্ধারকারী জাহাজসহ ব্যাপক নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজটির ব্যালেস্ট ওয়াটারের (ভারসাম্য রক্ষার পানি) ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জাহাজটি কাত হয়ে গেছে। গতকাল সকালে সংঘটিত এই ঘটনায় পঞ্চাশ বছরের পুরনো জেটিসহ বন্দর চ্যানেল ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছে বন্দর। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের ১১ নম্বর জেটিতে পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি ওইএল হিন্দ’ নামের একটি জাহাজে কন্টেনার বোঝাই করা হচ্ছিল। ১৮৪ দশমিক ১০ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ৮ মিটার ড্রাফটের এই জাহাজটিতে গত দুদিন ধরে কন্টেনারগুলো লোড করা হচ্ছিল। গতকাল সকালে জাহাজটির কন্টেনার বোঝাই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। সকালের জোয়ারে জাহাজটির যাত্রা করার কথা ছিল। কিন্তু নোঙর তোলার পূর্ব মুহূর্তে দেখা যায়, জাহাজটি প্রায় ১০ ডিগ্রি কাত হয়ে জেটি চেপে ধরেছে। জাহাজটিতে রফতানি পণ্য বোঝাই ও খালি মিলিয়ে ৯৬৪ টিইইউএস কন্টেনার রয়েছে। পরে সেটির যাত্রা বাতিল করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজটিতে কন্টেনার বোঝাই করার সময় ব্যালেন্সের ব্যাপারে সজাগ থাকা হয়নি। ফলে কন্টেনারের ওজনের অসামঞ্জস্যের কারণে জাহাজটির ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে গেছে। উপর থেকে কিছু কন্টেনার নামিয়ে ফেললে ব্যালেন্স ঠিক হয়ে যাবে। গতকাল ভাটার সময় জাহাজটির উপর থেকে প্রায় পঞ্চাশ টন ওজনের ২০টি কন্টেনার নামিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজটি সোজা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কাত হয়ে থাকা জাহাজটি ৫০ বছরের পুরনো ১১ নম্বর জেটিতে বড় ধরনের চাপের সৃষ্টি করেছে। তবে জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র দাবি করেছে। জাহাজটির বন্দর ত্যাগের আগে এটির ভারসাম্য সোজা করতে হবে। একই সাথে কোনো ইন্ডিপেন্ডেন্ট সার্ভেয়ার দিয়ে জাহাজটি সমুদ্রে চলাচলের উপযোগী হিসেবেও রিপোর্ট দিতে হবে। কিন্তু গতরাত পর্যন্ত জাহাজটির আদৌ কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা, জেটিতে চাপ দেয়ার ফলে জাহাজের কোনো ক্ষতি কিংবা জেটির কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জাহাজটি সোজা করার আগে নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ টিম জাহাজটি সোজা করার জন্য কাত করছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট জিবিএক্স। বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, জাহাজে কন্টেনার লোড করার আগে প্রতিটি কন্টেনারের ওজন হিসেব করে ব্যালেন্স ঠিক করা হয়। বেশ পরিকল্পনা করে খালি এবং পণ্য বোঝাই কন্টেনার সমন্বয় করা হয়। পণ্য বোঝাই কন্টেনার কোথায় রাখলে খালি কন্টেনার কোথায় রাখা হবে, আবার কয়টি পণ্য বোঝাই কন্টেনার রাখার পর কয়টি খালি কন্টেনার রাখা হবে ইত্যাদি বিষয়ে কঠোরভাবে সজাগ থাকা হয়। এতে করে লাখ লাখ কন্টেনার জাহাজে বোঝাই করে পরিবহন করা হলেও কখনো কন্টেনারের বেসামাল অবস্থায় জাহাজ কাত হয়ে জেটি চেপে ধরার ঘটনা ঘটেনি। তবে কন্টেনার রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হলেও পরবর্তীতে অন্যান্য কারণগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কন্টেনার রাখার ফলে ভারসাম্যে সমস্যা হলে কন্টেনার নামিয়ে ফেলার পর সুফল মিলতো। কিন্তু কিছু কন্টেনার নামানোর পরও কোনো সুফল আসেনি। জাহাজটি আগের মতো জেটি চেপে ধরে কাত হয়ে আছে। এই জাহাজটি জেটির দিকে কাত না হয়ে ‘ওভার সাইটে’ নদীর দিকে কাত হলে বড় বিপর্যয় হতো বলেও সূত্রগুলো মন্তব্য করেছে। সংশ্লিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি জাহাজের ব্যালেন্স সমন্বয় করার জন্য জাহাজের ভিতরে হাজার হাজার লিটার পানি রাখা হয়। জাহাজের একেবারে তলানির বিভিন্ন চেম্বারে ‘ব্যালেস্ট ওয়াটার’ নামের এই পানি ধারণ করা হয়। বিশেষ করে জাহাজের ব্যালেস্ট ভয়েজে ভারসাম্য রাখতে জাহাজের মোট ওজনের কমবেশি ত্রিশ শতাংশ পর্যন্ত পানি ধারণ করা হয় ‘ব্যালেস্ট ওয়াটার’ হিসেবে। তবে পণ্য বোঝাই থাকলে পানির পরিমাণ কম রাখা হয়। এমভি ওইএল হিন্দ জাহাজের ব্যালেস্ট ওয়াটারের কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশংকা করা হচ্ছে, জাহাজটির তলানিতে থাকা ব্যালেস্ট ওয়াটারের কোনো চেম্বার নষ্ট হয়ে পানি বের হয়ে যেতে পারে। কিংবা এক চেম্বারের পানি অন্য চেম্বারে ঢুকে গেছে। এতে করে জাহাজটির ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে জাহাজটি কাত হয়ে জেটি চেপে ধরেছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক এমভি ওইএল হিন্দ জাহাজের কাত হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেছেন, জাহাজটি সোজা করার চেষ্টা চলছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞ টিমের পাশাপাশি স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এবং পিএন্ডআই ক্লাবের পক্ষ থেকেও কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ভাটার সময় পানি কমে যাওয়ায় জাহাজটি কিছুটা নিচে নেমে গেছে। এটির উপর থেকে আরো কিছু কন্টেনার নামিয়ে এটিকে সোজা করার চেষ্টা করা হবে বলেও বন্দর সচিব জানান।.tdi_3_666.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_666.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও