খুলনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার রাত ৯টার দিকে খালিশপুরের লাল হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম আসিফ (২৫)। সে খালিশপুর তৈয়বা কলোনির হাবিবুর রহমানের ছেলে। এ ছাড়া জোবায়ের (২৫) ও মো. রানা (২৫) নামে দুই যুবক আহত হয়েছে। তারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খুমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, খালিশপুর তৈয়বা কলোনির হাবিবুর রহমানের ছেলে আসিফকে রাত ৯টা ২৫ মিনিটে খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তার ডান হাতের মাসলে ২টা কোপ, ডান হাতের কনুর নিচে ও ডান পাশে গলায় কোপের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া বাম সাইডে পিঠে বড় কোপ ও মাথার মাঝখানে কোপের চিহ্ন।এদিকে আহত অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে খালিশপুর মানুষী বিল্ডিং মোড় এলাকার বাসিন্দা আলতাফের ছেলে জোবায়ের এবং ৯টা ৪৫ মিনিটে ওয়ান্ডার ল্যান্ড শিশুপার্কের মোড় এলাকার বাসিন্দা মো. সানোয়ারের ছেলে মো. রানাকে হাসপাতালে আনা হয়। এরমধ্যে জোবায়েরের মাথার সামনে মাঝখানে, ডান/বাম হাতের কব্জির উপরে ও ডান পায়ের গোড়ালির নিচে কোপের চিহ্ন রয়েছে। আর রানার পিঠের ডান সাইডে উপরে কোপের চিহ্ন রয়েছে।খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আসিফ নিহত হন। জোবায়ের (২৫) ও রানা (২৫) নামে আরো দুই যুবক আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ও আহতরা স্থানীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।পুলিশ জানায়, নিহত আসিফের ডান হাতের মাসল, কনুই’র নিচে, গলার ডান পাশে, পিঠের বাম পাশে ও মাথার মাঝখানে কোপের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর ভর্তি জোবায়ের (২৫) এর মাথার সামনের দিকে, মাঝখানে, ডান ও বাম হাতের কব্জির ওপর এবং ডান পায়ের গোড়ালির নিচে কোপের চিহ্ন রয়েছে। সে বিএল কলেজের দর্শন শেষ বর্ষের ছাত্র। আর রানার (২৫) পিঠের ডান সাইডে কোপের চিহ্ন রয়েছে।নিহত আসিফ খালিশপুর তৈয়বা কলোনির হাবিবুর রহমানের ছেলে। আর জখম জোবায়ের খালিশপুর মানুষী বিল্ডিংয়ের আলতাফ হোসেনের ছেলে এবং মো. রানা ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্কের মোড় এলাকার মো. সানোয়ারের ছেলে।খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল বলেন, ‘স্থানীয় যুবকদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে হামলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে। হতাহতরা ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে নেই। এলাকার মিটিং মিছিলে আসতে পারে। পুলিশ এ ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করি।’