পাঁচ উপায়ে শিশুদের রাখা যাবে ঝুঁকিমুক্ত
.tdi_2_98b.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_98b.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারিতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা তুলনামূলক কম। এই মহামারিতে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৪ লাখের বেশি মানুষ। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-ইউসিএল এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এবং তাদের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া নিয়ে পরিচালিত পুরো বিশ্বের ৬৩৩২টি গবেষণা মূল্যায়ন করে দেখেছে। এসব গবেষণা মূল্যায়নের পর এই দুটি প্রতিষ্ঠান যে তথ্য দিয়েছে তা হলো, করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫৬% কম। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হলেও মারাত্মক অসুস্থ হওয়া বা মারা যাওয়ার ঝুঁকি শিশুদের কম থাকে। খবর বিবিসি বাংলার। এদিকে বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে কিনা সেটি বোঝা অনেক কঠিন বলে মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হেলেনা বেগম। তিনি বলেন, অনেক পরিবারের মানুষ বুঝতেই পারে না যে তাদের বাচ্চা কোভিড আক্রান্ত কিনা। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কোনো উপসর্গ থাকে না। যাদের জ্বর নেই, কাশি নেই, ছোট বাচ্চা হলে তো বলতেই পারে না যে গলাব্যথা হয়েছে, সে কারণে বোঝাটাই কঠিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিশুরা যেসব রোগে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ। আর এর উপসর্গ হচ্ছে নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি দেয়া, ঘড়ঘড় করে শব্দ করা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গলাব্যথা অথবা কানে ব্যথা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-ইউসিএল এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন তথ্য দিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ৩১টি ক্লাস্টারের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা যায়, মাত্র তিনটি ক্লাস্টারে সংক্রমণ শিশুদের থেকে হয়েছে। অর্থাৎ শিশুদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর হার ১০%। গবেষকরা মনে করেন, যেহেতু শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার তুলনামূলক কম, তাই তাদের থেকে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও তুলনামূলক কম। ঝুঁকি কমাতে কী করতে হবে : শিশুদের থেকে বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ এবং ভাইরোলজিস্টরা। শিশুদের আলাদা রাখা : শিশুরা যেহেতু সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে বেশি কিছু বোঝে না, তাই পরিবারের অন্য সদস্য বিশেষ করে যারা বয়স্ক এবং যাদের অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদেরকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে দরজা বন্ধ রাখতে হবে, যাতে শিশুরা কাছে আসতে না পারে। বাইরে থেকে এসে শিশুদের সংস্পর্শে না যাওয়া : বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ তাই শিশুদের বাইরে যাওয়ার মাত্রাও কম। সেক্ষেত্রে তাদেরকে করোনা থেকে মুক্ত রাখতে পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্য যারা বাইরে যান তাদের থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। সম্পূর্ণভাবে ভাইরাস মুক্ত না হয়ে বা বাইরে থেকে এসে শিশুদের সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না। আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে আইসোলেশন করা : শিশুরা কোভিড আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে তাদেরকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে আলাদা ইউনিট বা ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সব শিশুর মধ্যে উপসর্গ থাকবে বলে তারা নিজেরা নিজেদের জন্য ঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হবে না। পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক পরা : যেহেতু শিশুদের সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া অন্য স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের আলাদা করে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। শিশুদের সচেতন করা : শিশু বিশেষজ্ঞ ডা হেলেনা বেগম মনে করেন, কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে শিশুদের মধ্যেও সচেতনতার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং বুঝিয়ে বলতে হবে।.tdi_3_958.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_958.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});