কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ব্রাশফায়ারে মায়ের মৃত্যু ছেলে গুলিবিদ্ধ

.tdi_2_770.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_770.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় দীঘিনালার বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলিবর্ষণ করলে সোনামিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মালেকের স্ত্রী মোছাম্মৎ মোর্শেদা বেগম (৪০) ও ছেলে আহাদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মোর্শেদা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। ছেলে মো. আহাদকে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় প্রায় শতাধিক গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকালে সরেজমিনে বাবুছড়া গুচ্ছগ্রামে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা মো.আনোয়ার ও মো. রুহল আমিন জানান, ‘একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুচ্ছগ্রামের আবুল লিডার ও স্থানীয় ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেকের বাড়িতে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। এসময় ঘরের লোকজন মাটিতে শুয়ে প্রাণ রক্ষা করে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের গুলিতে আব্দুল মালেকের স্ত্রী মারা যান। গ্রামের লোকজন আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে ধানক্ষেত দিয়ে পালিয়ে যায়। গুচ্ছগ্রামের তিনটি বাড়ি টার্গেট করে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। গুলিতে তিনটি বসত বাড়ির টিনের ঘর ফুটো হয় যায়। ঘটনাস্থলে গুলির খোসা পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। সোনামিয়া টিলা ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমি ২০০৩ সাল থেকে সোনামিয়া ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। বিভিন্ন সময় আমাকে মারার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় আইনশৃক্সখলা বাহিনীকেও জানিয়েছি। রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসীরা আমার শোয়ার ঘর লক্ষ্য করে গুলি করে। এ সময় আমার স্ত্রী গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। আমার শিশু সন্তান আমাদের সাথে শুয়ে ছিল। তারও বাম কানের উপরে গুলি লাগে। সে বর্তমানে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’ তার দাবি- প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ ও সন্তু লারমার জেএসএস এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি হামলার বিচার চান। এদিকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। হত্যার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি চিরুনি অভিযান পরিচালনার দাবি জানান তারা। হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ (প্রসীত) ও জেএসএস(সন্ত)কে দায়ী করেছে সংগঠনটি। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সংগঠনটি। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আবদুল মজিদ, এসএম মাসুম কমিশনার, নজরুল ইসলাম মাসুদ, মনসুর আলম হীরা, আহেরুল ইসলাম সোহাগ প্রমুখ। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের(ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। এসব হত্যাকাণ্ডের সাথে ইউপিডিএফকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। আমরা কোনোভাবেই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নই। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছি।’ বাবুছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.জসীম উদ্দিন জানান, ‘গভীর রাতে ফাঁড়ির পাশেই অবস্থিত গুচ্ছগ্রামে ব্রাশফায়ারের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিতে একজন মারা যায় এবং এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার পর পর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।’ দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।.tdi_3_32e.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_32e.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন