কলেজছাত্র সাইফুল খুনের নেপথ্যে প্রেম

মানবজমিন আড়াইহাজার প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রেম গঠিত কারণেই বন্ধুর হাতে নৃশংসভাবে খুন হয় কলেজছাত্র সাইফুল ইসলাম। তিনি নরসিংদী শার্টেরিপাড়া এলাকায় অবস্থিত অনার্স কলেজে মনোবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে লেখাপড়া করছেন। পাশাপাশি গোপালদী বাজারে অবস্থিত মনির ফার্মেসিতে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে সাইফুলের বোন লিজার করা মামলায় শুভ নামে সাইফুলের এক বন্ধুকে আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুভও একই ফার্মেসিতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে গত বুধবার বিকালে তাকে পুলিশ ওই ফার্মেসি থেকেই আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। মামলার বাদী ও মৃত সাইফুলের বোন লিজা জানান, ১১ই আগস্ট সন্ধ্যায় উলুকান্দী এলাকার জৈনক এক ব্যক্তির জন্য মনির ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যায় সাইফুল। এক পর্যায়ে তার ব্যবহারের মোবাইলটি ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তারপর থেকে সে আর বাড়িতে ফিরেনি। পরদিন ১২ই আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে গোপালদী বাজারে অবস্থিত মার্কাস মসজিদের তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । তিনি বলেন, এক মেয়ের সাথে আমার ভাই সাইফুলের প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে শুভ ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে নৃসংশভাবে হত্যা করে। তার পেটে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের ফলে নাড়িভুড়ির কিছু অংশ বের হয়ে পড়েছিল। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার দুই হাতের কব্জির রগ কেটে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর রাতে কাপড়-চোপড় পাল্টে খুনি ফার্মেসিতে দায়িত্বও পালন করেছিল। আমি হত্যারকারীর ফাঁসি দাবি করছি। এদিকে বুধবার বিকালে সাইফুলের বন্ধু শুভকে আটকের পর জিজ্ঞাবাদে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। ঘটনার দিন রাতে সাইফুলের বোন লিজার করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে শুভ। তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার সঙ্গে আরো কারা জড়িত রয়েছে, তাদের শনাক্ত করতে আরো জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও