ফেসবুকের কল্যাণে হারিয়ে যাওয়া শিশু ফিরে পেলো পরিবার
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামের শরীফুল আলমের ছেলে তাওসীফ আলম (৭)। গত বৃহস্পতিবার সকালে নানার বাড়ি একই উপজেলার চিলাকাড়া চরপাড়া থেকে হারিয়ে যায় সে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে ফিরে পায় তার পরিবার। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পুলেরঘাট বাজার এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ। এ সময় শিশুটি নিজের নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারছিল না। পরে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শ্যামল মিয়া শিশুটির পরিচয় জানতে ছবিসহ ফেসবুকে মানবিক পোস্ট করেন। পোস্টটি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার হয়। নিউজ হয় অনলাইন পোর্টালে। যা নজরে পড়ে শিশুটির পরিবারের। পরে সন্ধ্যার দিকে থানায় এসে শিশুটিকে বুঝে নেয় পরিবার। পরিবারের বরাত দিয়ে পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শ্যামল মিয়া জানান, গত বুধবার সকালে উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামের শরীফুল আলমের ছেলে তাওসীফ আলম নানার বাড়ি একই উপজেলার চিলাকাড়া চরপাড়া গ্রামে যায়। সেখান থেকে পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির লোকজনের অজান্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে হারিয়ে যায় সে। পরে হাঁটতে হাঁটতে সে পুলেরঘাট বাজার এলাকায় চলে যায়। এ সময় রাস্তার পাশে শিশুটিকে কাঁদতে দেখে এগিয়ে আসে এক দোকানদার। কিন্তু শিশুটি নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারছিল না। পরে ওই দোকানদার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়। পরে ফেসবুকে শিশুটির পরিচয় জানতে চেয়ে ছবিসহ পোস্ট করা হয়। যা ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপসহ অনলাইন পোর্টালে শেয়ার হয়। যা নজরে পড়ে শিশুর পরিবারের। পরে সন্ধ্যায় থানায় আসে শিশুটির বাবা ও নানা। এ সময় তাদের কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। শিশু সন্তান তাওসীফ আলমকে ফিরে পেয়ে পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাবা শরীফুল আলম ও নানা মুনিরুজ্জামান। তারা জানান, বাড়ি থেকে শিশুটি হারিয়ে যাওয়ার পর থেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিল সবাই। পুলিশের মানবিকতায় ফেসবুকের কল্যাণে সন্তানকে ফিরে পাওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হলো।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.