চকরিয়ায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ মাদক কারবারি নিহত

মানবজমিন চকরিয়া প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাতনামা তিনজন নিহত হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য, নিহত তিনজন মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বানিয়াছড়ার পাহাড়ের আমতলী গর্জনবাগান এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধ হয়। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।  পুলিশের ভাষ্য, এ ঘটনায় চকরিয়া থানার ওসিসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাঁরা হলেন, ওসি মো. হাবিবুর রহমান, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য সাজ্জাদ হোসেন ও মো. সবুজ। তবে তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ তাদের পরিচয় নিশ্চিতে তথ্য সংগ্রহ করছে। ঘটনাস্থল থেকে ৪৪ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি একনলা বন্দুক, একটি দেশীয় তৈরী এলজি ও ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১৫টি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে দেড়টার দিকে বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা এলাকা থেকে জাহেদা বেগম ও মোজাফ্ফর আহমদ নামের দুইজন মাদক কারবারিকে ৬ হাজার পিস ইয়াবা বড়িসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তথ্য দেয়, রাতে একদল ইয়াবা কারবারি উপজেলার বানিয়াছড়ার পাহাড়ের আমতলী গর্জনবাগান নামক এলাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান হাত বদল করবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে অবস্থান করা অন্ত্রধারী ইয়াবা কারবারিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের চার সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজন ইয়াবা কারবারি ও সন্ত্রাসীদের পাওয়া যায়। তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মৃত ঘোষণা করে।  চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদিয়া সোলতানা বলেন, ‘রাতে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়। তাঁদের প্রত্যেকের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান, ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম, পুলিশ সদস্য সাজ্জাদ হোসেন ও মো. সবুজকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় হত্যা, অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হচ্ছে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও