কর্মীর বিশেষাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করলেন কম্পানির মালিক!
ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে লকডাউন শুরু হওয়ার আগে অন্য শহরে কাজ করতে গিয়ে আটকা পড়েন এক ব্যক্তি। বাধ্য হয়ে হোটেলে থাকতে গিয়ে কম্পানির অনেক টাকা খরচ করেছেন তিনি। আর সেই ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু। রাগে কম্পানির মালিক ওই কর্মীকে অপহরণের পর মারধর করার অভিযৈাগ উঠেছে। এমনকি কর্মীর বিশেষাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করারও অভিযোগ উঠেছে।
মালিক ও আরো দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ ও ১৪ জুন। কিন্তু ২ জুলাই থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন ওই যুবক। তার পরেই এ ঘটনা সামনে আসে।
জানা গেছে, ভারতের মহারাষ্ট্রের কোথরুডে একটি ফার্মে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতেন ৩০ বছর বয়সী ওই কর্মী। বিভিন্ন জায়গায় চিত্র প্রদর্শনীর সব ব্যবস্থা করে থাকে ফার্মটি। সে রকমেরই একটি কাজে মার্চ মাসে লকডাউনের আগে দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরই লকডাউন ঘোষণা করায় তিনি আটকা পড়েন। অভিযোগে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেছেন,লকডাউনের আগে অন্য শহরে কাজে গিয়ে আটকে যান এক কর্মী। বাধ্য হয়ে লজে থাকতে গিয়ে কোম্পানির অনেক টাকা খরচ করে ফেলেন তিনি। আর সেই নিয়েই বচসা।
রাগে কোম্পানির মালিক তাঁকে অপহরণ করে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁর যৌনাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মালিক ও আরও দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। পুলিশে সূত্রে খবর, এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে গত ১৩ ও ১৪ জুন। কিন্তু ২ জুলাই থানায় গিয়ে এফআইআর দায়ের করেন ওই যুবক। তারপরেই এই ঘটনা সামনে আসে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের কোথরুডে একটি ফার্মে ম্যানেজারের কাজ করতেন ৩০ বছরের ওই যুবক। বিভিন্ন জায়গায় চিত্র প্রদর্শনীর সব ব্যবস্থা করে থাকে ওই ফার্ম। সেই রকমেরই একটি কাজে মার্চ মাসে লকডাউনের আগে দিল্লি গিয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেই লকডাউন ঘোষণা করায় তিনি আটকে পড়েন।
যুবক নিজের অভিযোগে বলেছেন, বাধ্য হয়ে একটি হোটেলে তাকে থাকতে হয়। এই থাকা ও খাওয়ার খরচ বাবদ কম্পানির পক্ষ থেকে তাকে যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা খরচ হয়ে যায়। এ কথা কম্পানির মালিককে তিনি জানিয়েছিলেন। জানা গেছে, ৭ মে পুনে ফিরে আসেন ওই যুবক। তখন কম্পানির মালিক ওই যুবককে ১৭ দিনের জন্য একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেন। বাধ্য হয়ে সেটাও করেন ওই যুবক। টাকা না থাকায় বাধ্য হয়ে হোটেল মালিকের কাছে নিজের ফোন ও ডেবিট কার্ড জমা রাখতে হয় তাকে। যুবকের অভিযোগ, ১৩ জুন কম্পানির মালিক ও আরেক কর্মী এসে তার কাছে দিল্লিতে খরচ করা টাকা ফেরত চান।
তিনি বলেন, সেই মুহূর্তে তার কাছে টাকা নেই। আর তা নিয়েই কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপর ওই যুবককে অপহরণ করে গাড়িতে করে মালিক ও তার সহকারী চলে যান।