বিনামূল্যে প্লাজমা ও অক্সিজেন সরবরাহ করছেন 'টিম খোরশেদ'
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'টিম খোরশেদ' করোনায় আক্রান্তদের বাঁচাতে প্লাজমা ও অক্সিজেন সরবরাহ করছেন। দেশের প্রথম বেসরকারিভাবে টিম খোরশেদ করোনায় মৃতদের দাফন কাফনের পাশাপাশি আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে প্লাজমা ও অক্সিজেন সরবরাহ কাজ করায় এতে আক্রান্তরা সুফল পাচ্ছেন।
অনেকেই তার সংগৃহীত প্লাজমা দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর এতে আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে থাকা রোগীদের বাড়িতে অক্সিজেন সেবায় দিচ্ছেন তিনি। তবে এর পুরোটাই তিনি করছেন একেবারে বিনামূল্যে। তাঁর প্লাজমা টিমের সমন্বয় করছেন নাঈমুল আলম ও আরাফাত নয়ন। সহায়তা করছেন ইসতিয়াক মাহমুদ সাইফি, রিজন, অর্ণব ও সাহেদ। অক্সিজেন টিমের দায়িত্বে রয়েছেন এসএম কামরুজ্জামান।
শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তিনি ও তার টিম মোট ৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীনকে প্লাজমা দিয়েছেন, ২৩ জনকে অক্সিজেন সেবা সরবরাহ করেছেন এবং করোনায় ও করোনার উপসর্গে মারা যাওয়া ৯২ ব্যক্তির দাফন সৎকার করেছেন।
প্লাজমাগুলো তারা সংগ্রহ করছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে। সেগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীদের বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। অক্সিজেন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৫টি সিলিন্ডার ও ৩টি অত্যাধুনিক অক্সিজেন মেশিন যা কিনা বাতাস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অক্সিজেন জেনারেট করে রোগীকে সরবরাহ করতে সক্ষম।
জানাগেছে, ইতোমধ্যে ২১ জন প্লাজমা সেবায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে গুরুত্বর অবস্থায় ৫ আক্রান্ত রোগী প্লাজমা সেবা নিয়েও মারা গেছেন। অক্সিজেন সেবা নিয়ে বেশীরভাগ আক্রান্ত রোগী এখন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন।
প্লাজমা গ্রহীতা এক আক্রান্তের পিতা নজরুল ইসলাম জানান, তাদের দেওয়া প্লাজমাতে আমার সন্তান সুস্থ হয়েছেন। আমি এতে কৃতজ্ঞ। তাদের এই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবো না। এই মানুষটি এসময়ের সঙ্গী হয়েছেন সকলের। তিনি এই দূর্যোগে মুক্তির দূত হয়েছেন আমাদের কাছে।