চট্টগ্রাম: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ করোনা মহামারির মধ্যে কোনো সংবাদকর্মীকে চাকরিচ্যুত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যে কোনো মানুষের চাকরিচ্যুতি অমানবিক। মালিকপক্ষকে বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে।শুক্রবার (৩ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত সাংবাদিকদের করোনাকালীন সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি আমাকে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথমে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। এরপর তথ্য মন্ত্রণালয়ের অব্যয়িত অর্থ থেকে আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে কারা সহায়তা পাবেন তারা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোই তালিকা করেছেন। যারা ইউনিয়নের বাইরে আছেন তাদের জন্য ডিসির সুপারিশ নিয়ে অন্তর্ভুক্তের অপশন রাখা হয়েছে। প্রথম দফায় ১ হাজার ৫০০ সাংবাদিককে এ সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। সেখানে চট্টগ্রাম থেকে ২৫০ জন সাংবাদিক পাচ্ছেন। এবার যারা বাদ যাবেন তারা পরবর্তীতে পাবেন।
সিইউজের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ করোনা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিলো না। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এ ধরণের কোন মহামারি মোকাবিলা করার ইতিহাস নেই। এতো ছোট ভাইরাস চোখেও দেখা যায় না। এ ভাইরাস ছড়িয়ে না দিয়ে মানব জাতিকে সুরক্ষা দিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম দিকে চীন করোনা ভাইরাসকে অস্বীকার করেছে। যে ডাক্তার করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করেছেন, চীন সরকার তাকে গ্রেফতারও করেছ। সেই ডাক্তার শেষ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.