জাতীয় দলের অনুশীলন শুরুর সুখবর জানালেন নান্নু!
একবার নয়। কয়েকবারই মনে হয়েছে করোনার ভেতরেও জাতীয় দলের অনুশীলন শুরুর চিন্তা ভাবনা করছে বিসিবি। মাঝে শোনা গেল স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব রেখে জাতীয় দলের প্র্যাকটিস হবে। বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী তেমন কথাই জানিয়েছিলেন। সে সময় মনে হচ্ছিল অনুশীলন শুরু হবে এবং বিসিবি নীতিগভাবে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরাতে মুখিয়ে। গত জুনে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনুশীলন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মুশফিকুর রহীমসহ কয়েকজন জাতীয় ক্রিকেটার। বিসিবি তাদের সে ইচ্ছে বাস্তবে পরিণত করতে সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছিল।
জাতীয় দল পরিচালনা, পরিচর্যা ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব যে স্ট্যান্ডিং কমিটির ওপর ন্যস্ত, সেই বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ও বোর্ড প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন করার সে ইচ্ছে বাস্তবায়নে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তা আর বাস্তবে পরিণত হয়নি। শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটারও শারীরিক সংস্পর্শহীন সে অনুশীলন করেননি। মানে ক্রিকেটারদের দল বেঁধে কিংবা একা একা অনুশীনে নামা হয়ে ওঠেনি। কবে শুরু হবে? তা নিয়েও ছিল রাজ্যের সংশয়। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের পর থেকে মনে হচ্ছে বিসিবি আবার নড়েচড়ে বসতে চাচ্ছে এবং করোনার তীব্রতা ও প্রকোপ কমলে যত দ্রুত সম্ভব অনুশীলন শুরুর কথা ভাবছে।
গতকাল রাতে হঠাৎই দেশের ৮ মূল ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংস্কার ও মাঠ-পিচ তৈরির কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, তারা ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এমন প্রক্রিয়া শুরু করছেন। ভেতরের খবর, এবার সত্যিই ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোর জোর চিন্তা চলছে। আর তাইতো সিইও‘র সুরে সুর মিলিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জাগো নিউজের সাথে আলাপে নান্নু জানান, তারা ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরানোর আশায় আছেন। আগেও কয়েকবারের আলাপে জাতীয় দল ও ক্রিকেটারদের পুরোদস্তুর অনুশীলনে ফেরানোর কথা বললেও কখনই সময় বেঁধে দেননি নান্নু।
কি করে দেবেন? করোনার তীব্রতা ও প্রকোপ না কমা পর্যন্ত তো আসলে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানোয় রাজ্যের ঝুঁকি। তবে এবার নান্নু জানালেন, জুলাই মাসের শেষ কিংবা আগস্টের প্রথম দিকে ক্রিকেটারদের অনুশীলন শুরুর আশা করছেন তিনি। তার কথা, ‘করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে প্র্যাকটিস শুরুর কথা মাথায় রেখেই আসলে মাঠ রেডি করা। জুলাইয়ের শেষ না হয় আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্র্যাকটিস শুরু করা যায় কি না, ভাবা হচ্ছে। যদি অবস্থা একটু যদি ইম্প্রুভ করে, তাহলে চান্স আছে।’ প্রধান নির্বাচক অনুশীলনে ফেরানোর পাশাপাশি ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পক্ষে।