করোনার ২৪ ঘণ্টার বুলেটিনে রোগীর সংখ্যায় গোঁজামিল!

সময় টিভি প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২০, ১০:৩১

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়মিত বুলেটিনে প্রতিদিন জানানো হলেও এই সংখ্যাকে গোঁজামিল বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একই ব্যক্তিকে গণনা করা হচ্ছে তিন থেকে চারবার। প্রতিবারই তিনি ঢুকছেন মোট আক্রান্তের তালিকায়। মূলত এপ্রিলের পর সংক্রমণ বাড়া শুরু এই গোঁজামিলের কারণে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ক্রটিপূর্ণ তথ্য দিয়ে করোনা মোকাবিলা দিন দিন আরো কঠিন হয়ে উঠবে।

সাড়ে তিন মাস ধরে প্রতিদিনই চলছে এই তথ্য প্রদান। নিয়ম করে প্রতিদিনই জানানো হয় ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত, মৃত, সুস্থ কত জনসহ দেশের করোনা পরিস্থিতির আদ্যোপান্ত। প্রশ্ন হলো- এই তথ্য কতোটা সঠিক।

রাজধানীসহ সারা দেশের নমুনা সংগ্রহের বুথে প্রতিদিন নানা কাঠখড় পুড়িয়ে যারা নমুনা দিতে আসেন তাদের হাতে যে ফরমটি ধরিয়ে দেয়া হয় তাতে থাকে দুটি অপশন- নতুন কিংবা পুরাতন।

রোগীরা বলছেন, এখানে দুটো নিয়ম আছে, যেখানে নতুন আর ফলোআপ বিষয়ে ফর্মে লেখা থাকে। তবে তৃতীয়বার আর কারোর আসার সুযোগ নেই।

তবে এই তথ্য দিয়ে সঠিক সংখ্যা কিভাবে মিলবে সেই প্রশ্নের উত্তর জানে না আইউডিসিআরও। একই ব্যক্তি যদি তিন চারবারও পরীক্ষা করেন তাকে প্রতিবারেই গণনা করা হচ্ছে আলাদা ভাবে। সংবাদ বুলেটিনে যে তথ্য দেয়া হয় তাতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের সংখ্যায় কতজন পুরাতন রোগী সেই তথ্য থাকে অধরা।

আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, এটা ভুল রিপোর্ট না অসম্পূর্ণ বলতে পারেন। হাজার হাজার কিনা তা জানি না। এখানে কিছু তো আছে হিসাব করা দরকার। যারা একাধিকবার নমুনা পরীক্ষা করেছেন তাদের বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে।

আবার সুস্থ রোগীর ক্ষেত্রেও নেই সুনির্দিষ্ট হিসাব। এপ্রিলের পর থেকেই এই গোঁজামিলের হিসাব চলছে বলে জানায় আইইডিসিআর। এমন তথ্য তাদের গবেষণারও অন্তরায় বলছে প্রতিষ্ঠানটি।

আইইডিসিআর উপদেষ্টা ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, সংক্রমণ গুরত্বপূর্ণ। সেটা আমাদের রোগীর তথ্য তুলে ধরা যাবে। যারা আইসোলেশনে ছিলেন তাদের তথ্যগুলো এপ্রিল মাসে আইইডিসিআর সংগ্রহ করেনি। আর গবেষণার জন্য আমাদের নির্ভুল তথ্য দরকার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও