কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংস্কারের পর দৃষ্টিনন্দন রূপে সাজবে ঐতিহাসিক পানাম নগর

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২০, ০৯:৫৯

চারশ বছরেরও আগে গড়ে ওঠে পানাম নগর। ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনামলেও এ নগরে তৈরি হয় অনেকগুলো ভবন। এবার সেই পানামের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সরকার। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে চলতি মাস থেকে এ সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানা যায়।

ডব্লিউ ডব্লিউ হান্টারের লেখা থেকে জানা যায়, পানাম নগরের ভবনগুলোর বেশিরভাগই ঔপনিবেশিক ধাঁচের দোতলা এবং একতলা বাড়ি। যার অধিকাংশই ঊনবিংশ শতাব্দীতে তৈরি। এখানে মূলত হিন্দু ধনী ব্যবসায়ীদের বসতবাড়ি ছিল। ১৬১১ সালে সোনারগাঁ মোগলদের দখলে এলে এখানে সড়ক ও সেতু নির্মাণ করা হয়। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয় পানামের।  

২০০৬ এবং ২০০৮ সালে নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ডের জরিপে বিশ্বের ধ্বংসপ্রায় শত নগরীর তালিকায় পানামের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।   জানা যায়, বর্তমানে পানাম নগরে ৫২টি ভবন রয়েছে। পানাম সড়কের উত্তর পাশে ৩১টি এবং দক্ষিণ পাশে বাকি ২১টি বাড়ি রয়েছে। এসব বাড়ি আয়তাকার, উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত, উচ্চতা একতলা থেকে তিনতলা।   ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এসব ভবনের দরজা-জানালা পর্যন্ত লুট হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানকার বাসিন্দারা দেশ ত্যাগ করলে নগরীটি প্রায় জনমানবশূন্য হয়ে যায়।  

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাড়িগুলোতে বসবাসের জন্য ১০ থেকে ১৫ বছরের ইজারা দেওয়া হয়। যা পরে নবায়ন করা হয়। তবে মূল মালিকের অবর্তমানে বাড়িগুলো প্রতিনিয়ত ক্ষয় হতে থাকে। ২০০৪ সাল থেকে ইজারা নবায়ন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় এনে টিকিটের বিনিময়ে এখানে দর্শনার্থী প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়।  

পানাম নগর সংস্কারের বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই পানাম নগর সংস্কারের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। যার আওতায় পানাম নগরের রেস্টোরেশনের কাজ জুলাই মাসেই শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে একটি ভবনকে রেস্টোরেশন করে কাজ শুরু হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও