অনেক চেষ্টাতেও জামিন মিলছে না কাজলের

ডয়েচ ভেল (জার্মানী) প্রকাশিত: ০১ জুলাই ২০২০, ২১:০২

দুই মাস ধরে কারাগারে আছেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। মুক্তি না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা হতাশ। বারবার আবেদন করেও জামিন মিলছে না। কারাগারে তার শারীরিক অবস্থারও অবনতি হচ্ছে।৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে পাওয়া যায় ফটো সাংবাদিক কাজলকে। বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর হয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই দিন যাশোরের আদালত অনুপ্রবেশের মামলায় জামিন দিলেও ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে তার বিরুদ্ধে আগেই ডিজিটাল আইনে মামলা ছিল। ওই দিন আদালতে ডিজিটাল মামলার কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়নি।

কাজলকে প্রথমে যশোর কারাগারে রাখা হলেও ২২ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। এরই মধ্যে কাজলকে ডিজিটাল আইনের দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তার জামিনের আবেদন নাকচ হয়েছে। করোনার কারণে এই আইনি প্রক্রিয়াগুলো ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে হচ্ছে। কাজলকে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচেছ না।

২৩ জুন তাকে শেরেবাংলা নগর থানায় সংসদ সদস্য (মাগুরা-১) সাইফুজ্জামান শিখরের দায়ের করা ডিজিটাল আইনের মামলায় ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তার দেখায়। ওই দিন তার জামিনের আবেদনও করা হয়। কিন্তু তিনি জামিন পাননি। ২৮ জুন হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা আরো একটি ডিজিটাল মামলায় ট্রাইব্যুনাল তাকে গ্রেপ্তার দেখায় । তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় আর জামিন আবেদন নাকচ করা হয়। এই মামলার বাদী ওসমিন আরা বেলি। তার বিরুদ্ধে মামলাগুলোর অভিযোগ একই রকম। যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে দৈনিক মানবজমিনে প্রকাশিত একটি খবর ফেসবুকে শেয়ার করার অভিযোগ।

কাজলের আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া জানান, ‘‘মামলাগুলো জামিন অযোগ্য। কিন্তু কাজলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। তাই তার জামিন প্রাপ্য। কারণ, তিনি ফেসবুকে দৈনিক মানবজমিনের যে প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন তাতে সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের নাম নেই। মাগুরায় ৬ টি সংসদীয় আসন আছে। কোন আসনের এমপি তাও নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। আর পাপিয়া যে অপরাধী তা তো প্রমাণিত। তাই যদি না হবে তাহলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে কেন?”

শেরেবাংলা নগর থানায় সংসদ সদস্যের মামলায় কাজল এবং মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ মোট ৩২জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে কাজল গ্রেপ্তার হলেও মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও