ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে পৃথক দুটি মামলায় একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে, আদালতে হাজির করার পর আওয়ামী লীগ নেতা বরকত নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম মো. ফারুক হোসাইনের আদালতে সাত দিনের আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে একই আদালত পৃথক দুটি চাঁদাবাজি মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, 'জেলার সদর আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বদরপুরের বাড়িতে চুরির ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে আসামি করে মামলা করেন মোশাররফ হোসেনের এপিএস এইচ এম ফোয়াদ। ওই মামলায় আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।'
তিনি বলেন, 'ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে দুলাল লস্করের করা একটি চাঁদাবাজি মামলায় রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাঁকেও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।'
এদিকে, গতকাল আদালতে গিয়ে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে সাজ্জাদ হোসেন বরকত গ্যাস লাইটার দিয়ে নিজের লুঙ্গিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নবনির্মিত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চারতলায় এ ঘটনা ঘটে। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ দ্রুত বিষয়টি দেখে ফেলে এবং আগুন নিভিয়ে ফেলে।
এ ঘটনায় বরকতের লুঙ্গির কিছু অংশ পুড়ে গেলেও তাঁর শরীরের কোনো ক্ষতি হয়নি।
সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, 'এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় বরকতের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে।'
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.