উত্তেজনা বাড়িয়ে সীমান্তে বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন চীনের
উত্তেজনা থামছেই না ভারত-চীনের। কখন যেন শুরু হয় যুদ্ধ এমন আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিচ্ছে উভয় দেশই। ভারতের টি-৯০ ট্যাংক মোতায়েনের পর এবার লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন। এছাড়া চীন গালওয়ান নদী উপত্যকা, হট স্ক্রিং এবং প্যাঙ্গং সো এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সমরসজ্জা বাড়িয়ে যাচ্ছে। খবর দ্য হিন্দু'র।
উপগ্রহ চিত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৪২৩ মিটার এলাকা পর্যন্ত ঢুকে এসেছে চীনা ফৌজ। প্যাঙ্গং রেঞ্জের ফিঙ্গার পয়েন্ট ৪ ও ফিঙ্গার পয়েন্ট ৫ এলাকার মাঝামাঝি চীনের মান্দারিন ভাষায় লেখা বিশেষ প্রতীক ও ম্যাপের চিত্র ধরা পড়েছে স্যাটেলাইট ছবিতে।
গত কয়েক মাস ধরে চীনের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে ভারতের। ৬ জুন উভয়পক্ষের প্রথম দফা বৈঠকে কোনো ফল আসেনি। ফলে ১৬ জুন চীন ও ভারতের সেনা সদস্যদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এতে ২০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হন। কয়েকজন চীনা সেনাও নিহত হন। এরপর থেকেই গালওয়ানে শক্তি বাড়াচ্ছে উভয় দেশ।
সীমান্তে আমেরিকা থেকে কেনা আল্ট্রা-লাইট হাউইৎজার কামান মোতায়েন করেছে ভারত। রাশিয়া থেকে কেনা অত্যাধুনিক টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, কুইক রি-অ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল মোতায়েনের কাজ চলছে। চীনা গতিবিধি নজরে রাখতে টহল দিচ্ছে ভারতের লড়াকু বিমান সুখোই-৩০, মিগ-২৯ ফাইটার জেট, মিরাজ-২০০০ ফাইটার এয়ারক্রাফট।
জবাবে চীনও সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে। রাশিয়া থেকে আনা আল্ট্রা-মডার্ন এস-৪০০, এস-৩০০, এলওয়াই-৮০ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে বেইজিং। এছাড়া বেইজিং জিনজিয়ান প্রদেশ থেকে চতুর্থ মোটর রাইফেল ডিভিশন এনেছে লাদাখে। এছাড়া গালওয়ানের বিতর্কিত এলাকায় মান্দারিন ভাষার প্রতীক ও ম্যাপ স্থাপনের ছবি দেখা গেছে উপগ্রহের চিত্রে।