সাত শিল্পীর ‘আর্ট ইন নিউ নরমাল’ আড্ডা
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘আর্ট ইন নিউ নরমাল’’ শিরোনামে এই অনলাইন আড্ডায় রোববার রাতে শামিল হয়েছিলেন বৃত্ত আর্ট ট্রাস্টের সমন্বয়ক ও শিল্পী মাহবুবুর রহমান, সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা আর্ট সামিটের উদ্যোক্তা রাজীব সামদানী ও নাদিয়া সামদানী, শিল্পী আয়েশা সুলতানা, শিল্পী ও সব্যসাচী মিস্ত্রী, অ্যানিমেশন ডিজাইনার সামির আসরান রহমান ও শিল্পী-কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময়আড্ডা সঞ্চালনা করেন মেঘদল ব্যান্ডের ভোকালিস্ট শিবু কুমার শীল।ঘরবন্দি জীবনের ভালো-মন্দ দিক তুলে ধরে মাহবুবুর রহমান বলেন, “ক্রাইসিসের মধ্যে মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ডিপ্রেশনের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। আবার অফুরন্ত সময়ও পাওয়া যাচ্ছে।
নিজের চিন্তা-ভাবনাগুলো তুলে আনা যাচ্ছে। নিজেকে গভীরভাবে দেখা, চিন্তাভাবনাকে পরিশীলিত করা, পড়াশোনা করেই সময় কাটাচ্ছি।”ঘরে বসেই পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার কথা জানান তিনি।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘ঢাকা আর্ট সামিট’ শেষ হওয়ার অল্প কয়েকদিনের মাথায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ঘরবন্দি হয়েছেন এ আয়োজনের উদ্যোক্তা রাজীব সামদানী ও নাদিয়া সামদানী।
শুরুর দিকে ঘরবন্দি পরিস্থিতি মেনে নেওয়া কষ্টসাধ্য হলেও পরবর্তীতে তা মেনে নিয়েছেন বলে জানান নাদিয়া।‘নিউ নরমাল’ জীবনের বাস্তবতায় নিজেদের কর্মকাণ্ডও চালিয়ে যাচ্ছেন অনলাইনে। দেশ ও বিদেশের শিল্পী, শিল্পের অনুরাগীদের জন্য ‘আর্ট অ্যারাউন্ড দ্য টেবিল’ শিরোনামে ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন।এই সময়ে কীভাবে আর্ট, ফটোগ্রাফি করা যায় সেই বিষয়গুলোই তুলে আনা হচ্ছে কর্মশালায়।রাজিব বলেন, “আমাদের এ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত আছে জাগো ফাউন্ডেশন। শুধু আর্টিস্ট নয়, সবার জন্যই এটি করছি।
নিজেদের সম্মানীগুলো আর্টিস্টরা জাগো ফাউন্ডেশনে ডোনেট করছেন।”লন্ডনে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে আড্ডায় যোগ দেওয়া শিল্পী আয়েশা সুলতানা জানান, তিনিও ঘরে বসে নতুন নতুন কাজের পরিকল্পনা করছেন।ধীরে ধীরে ইউরোপে চিত্র প্রদর্শনী কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হলেও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এই সময়ে চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা বেশ দুরূহ বলেই মনে করেন তিনি।আয়েশা বলেন, “আমাদের দেশে কবে প্রদর্শনী হবে-সেটা এখনও নিশ্চিত হতে পারছি না। এ ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নিলে হয়ত হতে পারে।”সব্যসাচী মিস্ত্রী বলছেন, তিনি ঘরে বসে অফিসের কাজ করছেন। ফুসরত মিললে বই পড়ে কিংবা গান শুনে সময় কাটাচ্ছেন। আপাতত সৃজনশীল কাজের বাইরে আছেন।ঘরে বসে কাজ করতে গিয়ে স্টুডিওর সময়গুলো মিস করছেন বলে জানান অ্যানিমেশন ডিজাইনার সামির আসরান রহমান।কার্টুনিস্ট ও শিল্পী সৈয়দ রাশেদ ইমাম তন্ময় কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে গ্রাফিক নভেলে।