করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন সংসদ সদস্য প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানান এবং বাজেট পুনঃবিবেচনায় এনে যথাযথ সংশোধনের জন্য অনুরোধ জানান। সম্প্রতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে উচ্চহারে তামাকের কর ও দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী বরাবর বাজেট প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পত্র প্রেরণ করেন গোপালগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন, মহিলা আসন-৭ সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, মহিলা আসন-২০ সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক এবং মহিলা আসন-৪৫ সংসদ সদস্য মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী।
বাজেট প্রতিক্রিয়া পত্রের মাধ্যমে সংসদ সদস্যগণ নিম্নোক্ত প্রস্তাবনাসমূহ অর্থমন্ত্রী নিকট পেশ করেন এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে সিগারেটের মূল্যস্তর ৪টি থেকে ২টি নির্ধারণ, একীভূত নতুন নিম্নস্তরের ১০ শলাকা সিগারটের খুচরা মূল্য ন্যূনতম ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ; একীভূত নতুন প্রিমিয়াম স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য নূন্যতম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার অনুরোধ জানান।
তারা ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করে ৫০% সম্পূরক শুল্ক ও ৬.৮৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করে ৫০% সম্পূরক শুল্ক এবং ৫.৪৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পেশ করেন।
এ ছাড়াও সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ৩% কোভিড-১৯ সারচার্জ আরোপ করা ও ই-সিগারেটের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা জানান।
এছাড়াও প্রতিক্রিয়ায় সংসদ সদস্যগণ আরো বলেন, সার্বিকভাবে প্রস্তাবিত তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধির পদক্ষেপ অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ, অকাল মৃত্যুরোধ এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসে কোনো ভূমিকা রাখবে না, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকখাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় খুব বেশি বাড়বে না; বরং শুল্ক না বাড়িয়ে দাম বাড়ানোর ফলে তামাক কোম্পানিগুলো বিনা ব্যয়ে আরো বেশি মুনাফা করার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন না করলে সরকার অতিরিক্ত ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ হারাবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.