কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পজিটিভ ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর টেস্ট করার সুযোগ থাকছে না

পূর্ব পশ্চিম প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০, ১৯:২৯

কোভিড-১৯ পজিটিভ ব্যক্তি চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর তার আর টেস্ট করার দরকার হবে না-এমন গাইডলাইন চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্য বিভাগকে দিয়েছেন আইইডিসিআরের গবেষকরা। নতুন এই গাইডলাইন শিগগিরই কার্যকর হবে বলে আশা করছেন তারা।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা: মুশতাক হোসেন বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি পজিটিভ শনাক্ত হবে সে আইসোলেশনে থাকবে এবং জ্বর চলে গেলেও এবং তিন দিন প্যারাসিটামল না খাওয়ার পরও তার জ্বর না থাকলে, সে সুস্থ বলে গণ্য হবে।তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে কোনও ব্যক্তি পজিটিভ শনাক্ত হবার পর সুস্থ হয়ে উঠলে, তাকে নেগেটিভ হিসেবে গণ্য করার ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহের তারিখ থেকে মোট তের দিন পর্যন্ত হিসাবে গণ্য করা হবে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই হিসাব হবে ১৪ দিনের বলে নতুন গাইডলাইনে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ডা: মুশতাক হোসেন জানাচ্ছেন এর অর্থ পজিটিভ শনাক্ত রোগীর নমুনা সংগ্রহের তারিখ থেকে তাকে নেগেটিভ বলে পরিগণিত করা হবে ১৪ দিন পর।

‘যেসব দেশের সক্ষমতা আছে তারা দুটি টেস্ট করাতে পারে কিন্তু আমরা যে খসড়া তৈরি করেছি, তাতে ১৪ দিনের কথা বলা হয়েছে। এর পর সুস্থ হওয়া ব্যক্তিকে নেগেটিভ হিসেবে গণনা করা হবে।’

তবে কারও জ্বর যদি ১৪ বা ১৫ দিনের মাথায় সেরে যায় তাহলে তারপরের তিন দিন যদি প্যারাসিটামল ছাড়া জ্বর না আসে তাহলে তখন থেকে অর্থাৎ ১৭/১৮ দিন থেকে তিনি সুস্থ বলে গণ্য হবেন।

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে উপদেষ্টা হিসেবে আইইডিসিআরের সাথে কাজ করছেন ডা. মুশতাক হোসেন।

ওদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্রও এটি নিশ্চিত করেছে যে বাংলাদেশে এখন কোনও ব্যক্তি পজিটিভ হলে চিকিৎসা নেয়ার পর দু’টি আরটি পিসিআর পরীক্ষায় যে নেগেটিভ ফল আসতে হতো, সেটি আগামীতে আর করা হবে না। তবে বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি।

যদিও ডা. মুশতাক হোসেন বলছেন দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এটি ওয়েবসাইটে দেয়া হবে বলে তিনি আশা করছেন। তিনি বলেন, উপসর্গ দেখা দিলে রোগী আইসোলেশনে থাকবেন বা প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হবেন। এরপর সুস্থ হওয়ার পর তার আর কোনও টেস্টের প্রয়োজন নেই।

জটিল রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নিবেন

মুশতাক হোসেন বলছেন যেসব রোগী জটিল অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের টেস্ট করা বা না করার পুরো বিষয়টি সম্পর্কে হাসপাতাল ও চিকিৎসক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন।

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে রোগী সুস্থ হওয়ার পরেও টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে এবং তা নিয়ে রোগী ও হাসপাতালের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে।

‘মনে রাখতে হবে অনেক সময় ডেড ভাইরাসের কারণেও রোগীকে পজিটিভ দেখাতে পারে টেস্টে। সেক্ষেত্রে জ্বর থাকলে তাকে আইসোলেশনেই থাকতে হবে। তবে তার মধ্যে থাকা এই ভাইরাস অন্যদের সংক্রমিত করবে এমন কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই। ফলে নতুন করে টেস্টের প্রয়োজন নেই।’

হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্রের শর্ত হিসেবে গাইডলাইনে কি ছিল

স্বাস্থ্য বিভাগের কোভিড-১৯ কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে আগে কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছিল।

এসব শর্ত গুলো হলো :

১. জ্বর সেরে গেলে

২. শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ/ সমস্যা জনিত উপসর্গ যেমন শুষ্ক কাশি/ কফ, নি:শ্বাসের দুর্বলতা -এগুলোর উন্নতি হলে

৩. ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে

৪. তবে দু’টি আরটি-পিসিআর সম্ভব না হলে প্রথম দু’টি মানদণ্ড দু’টি তিন দিন অব্যাহত থাকলে ছাড়পত্র দেয়া যাবে

৫. হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও রোগীকে বাসায় বা অন্য কোথাও আইসোলেশনের নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং ছাড়পত্র পাওয়ার দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী ১৪ দিন সেখানেই অবস্থান করতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও