নিউইয়র্কে যে কারণে কেঁদেছিলেন বিপ্লব
কাঁদলেন বিপ্লব। দুদিন কেঁদেছেন। ভক্ত-শ্রোতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁকে কাঁদতে বাধ্য করেছেন। দীর্ঘদিন পর ভক্ত-শ্রোতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শর্তহীন উজাড় করা ভালোবাসা কাঁদিয়েছে তাঁকে। ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় এমনটা জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা বিপ্লব প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপেও আজ সোমবার তা জানিয়েছেন।কিছুদিন আগে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হলে জানা যায়, গান নিয়ে নিজের মতো করে থাকলেও বিপ্লব যুক্তরাষ্ট্রে ভিন্ন পেশা বেছে নিয়েছেন।
তিনি নিজেই জানান, সেখানে তিনি ট্যাক্সি সার্ভিসে আছেন। প্রথম আলোয় ‘ট্যাক্সিক্যাব চালানো নিয়ে বিব্রত নন বিপ্লব’ এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বিপ্লব-ভক্তরা তাঁদের প্রিয় শিল্পীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারেন। ২ জুন প্রকাশিত হওয়া সেই প্রতিবেদন বেশ সাড়াও ফেলে। প্রিয় শিল্পীর বর্তমান অবস্থা জানতে পেরে বিপ্লব-ভক্তদের যেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আরও বেড়ে গেল। বিপ্লবের কথায়ও তা পরিষ্কারভাবে জানা যায়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভক্ত-শ্রোতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, সম্মান প্রদর্শন করেছেন, সে জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে ১৮ মিনিটের একটি ভিডিও গতকাল বিপ্লব তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সুন্দরভাবে প্রতিবেদনটি তুলে ধরার জন্য প্রথম আলো এবং প্রতিবেদকের প্রতি কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেছেন। ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে বিপ্লব বলেন, ‘ভক্ত-শ্রোতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়ায় আমি অনেক ভালোবাসা, অ্যাওয়ার্ড, সফলতা পেয়েছি। ওসবে আমি কখনো কাঁদিনি।
আমাকে কাঁদাতে পারেনি। প্রথম আলোয় আমার ফিচার প্রকাশের পর আপনাদের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি কেঁদেছি, দুদিন কেঁদেছি। এই কান্না সার্থকতায়, না খুশিতে, তাও আমি জানি না। করোনার এই সময়ে সবাই খুব কঠিন সংকটে আছে। জীবন নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা। তার পরও আমাকে নিয়ে আপনারা ভেবেছেন, যে ভালোবাসা সবাই দেখিয়েছেন, তার উত্তর কীভাবে দেওয়া উচিত, আমি জানি না। শুধু বলতে পারি, আপনাদের সবাইকে আমি অনেক ভালোবাসি। আই লাভ ইউ।’ বিপ্লব বলেন, ‘৩৫ বছরের বেশি আমার গানের জীবন। অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু এই ভালোবাসা ঠিক আগের মতো নয়। মহামারিতে যেখানে মানুষের বাঁচা-মরার ব্যাপারটি খুব সহজ, সেখানে সবাই সব ভুলে গিয়ে আমাকে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, এটা আমার জন্য বিশাল একটা বিষয়। ভিডিওতে বিপ্লব বলেন, ‘বহুদিন পর প্রথম আলোয় আমার ফিচার এসেছে।
প্রথম আলোর পরপর অন্য পত্রিকায় ফিচার এসেছে, তবে আমার বর্তমান অবস্থা নিয়ে অন্য কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তার পরও অন্যসব সাংবাদিক বন্ধুরা গুছিয়ে লেখাটা তুলে ধরে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, তার জন্য ভালোবাসা। এই ফিচারের পর অনেকে আমাকে ফেসবুক লাইভে এসেও কিছু বলার অনুরোধ করেছেন। সবাই বলছিল, বিপ্লব ভাই আপনি কেন সবার সামনে আসছেন না। আমি ব্যস্ত যেমন ছিলাম, তেমনি যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেটার উত্তর কীভাবে দেব, তা নিয়ে ভাবতে ভাবতে এতটা সময় লেগে গেল। কারণ এই ভালোবাসা ঠিক আগের মতো নয়। আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি, এটার উত্তর কীভাবে দেব, তা আমি গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না। ব্যস্ততার বাস্তবতায় সময় বের করাটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।