যেসব খাবার ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়
ক্ষুধা পেলে ক্ষুধা দূর করার জন্য প্রয়োজন পড়ে খাবারের। খাবার খেলে তা পেট ভরিয়ে রাখবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খাবার খাওয়ার পরে ক্ষুধা দূর হওয়ার বদলে যদি আরও বেড়ে যায়? আসলে এমনকিছু খাবার আছে যা ফাঁপা ও অস্বাস্থ্যকর ক্যালোরি দিয়ে ভরা। সেসব খেলে সাময়িকভাবে ক্ষুধা দূর হয়েছে মনে হলেও পরবর্তীতে তা আরও অনেকটা বেড়ে যায়। সেই খাবারগুলো সম্পর্কে জানাচ্ছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস- পটেটো চিপসভীষণ ক্ষুধা পেয়েছে, এদিকে হাতের কাছে তেমন কোনো খাবারও নেই।
এমন সময় যদি এক প্যাকেট পটেটো চিপস পাওয়া যায় তবে অনেকে তাই খেয়ে নেবেন। আপনি যদি মনে করেন, এতে আপনার ক্ষুধা দূর হবে, তবে তা ভুল ধারণা। পটেটো চিপস খাওয়ার পর কিছুক্ষণ ক্ষুধা না থাকলেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্ষুধা বেড়ে যাবে। সাথে পানি পানের তৃষ্ণাও বেড়ে যায়। সাদা ভাতভাত সাময়িকভাবে ক্ষুধাকে প্রশমিত করে মাত্র। কিন্তু দীর্ঘসময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে বেছে নিতে হবে ব্রাউন রাইস কিংবা লাল চালের ভাত। এই দুই ধরণের চালে আঁশ থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ।
যা ঘনঘন ক্ষুধা পাওয়া থেকে বিরত রাখে। ফলের রসচিনিবিহীন ফলের জুস পান করেই অনেকেই দিনের শুরু হয়। অবশ্যই ফলের জুস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পানীয়। কিন্তু ফলের জুস পানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষুধা পেয়ে যায়। তাই এর বদলে আস্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। কারণ ফল থেকে প্রয়োজনীয় আঁশ পাওয়া যাবে, যা জুসে থাকে না।
ইনস্ট্যান্ট নুডলসঝটপট রেঁধে নেওয়া যায় এমন খাবার তৈরির প্রতি ঝোঁক থাকে সবার। এর মাঝে প্রথমেই থাকবে ইনস্ট্যান্ট নুডলস। কিন্তু এতে থাকা মনোসোডিয়াম গ্লুমেট তথা টেস্টিং সল্ট বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যাসহ হরমোনাল ইমব্যালেন্স তৈরির জন্য দায়ী। এছাড়া টেস্টিং সল্ট মস্তিষ্ককে ক্ষতিকর ক্যালোরি দ্বারা সিগন্যাল দেয়, এতে করে অল্প খাবারেই পেট ভরে যায়। তাই খাওয়ার একটু পরেই আবার ক্ষুধা লাগে। সুগার-ফ্রি খাবারআপাতদৃষ্টিতে সুগার ফ্রি খাবার স্বাস্থ্যসম্মত মনে হলেও এই খাবারগুলোতে ব্যবহার করা আর্টিফিশিয়াল সুইটনার চিনির মতই ক্ষতিকর।