ঘরবন্দী সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে টঙঘর টকিজে ৬ শর্টফিল্ম
ঘরবন্দী সময়ে অভ্যস্ত নয় মানুষ। অথচ করোনা বিস্তার রোধে দিনের পর দিন ঘরে থাকতে হচ্ছে। যেহেতু বসেই কাটাতে হচ্ছে, তাই ঘরে থাকার এই সুযোগটাকে ভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছেন সৃষ্টিশীল মানুষ। বিশেষ করে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণে বিশ্বাস যাদের। তেমনই ছয় জন স্বাধীন নির্মাতার নির্মিত ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে ‘টঙ-আইসোলেশন ডায়েরি’ নামে সিরিজ প্রকাশ করেছে টঙঘর টকিজ। ঘরবন্দী সময়ের ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার গল্প উঠে এসেছে ৬টি শর্টফিল্মেই। এরমধ্যে আছে একজন ভারতীয় নির্মাতার শর্টফিল্মও।
কলকাতার জয়দ্বীপ ব্যানার্জির নির্মাণে চলচ্চিত্রটির নাম ‘দ্য টাইম এন্ড আই’। এছাড়াও আছে বাংলাদেশ থেকে নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংগঠক দেবাশীষ মজুমদারের ‘লিমিট’, নাট্য নির্মাতা তৌহিন হাসানের ‘দ্য সাইলেন্ট রুফ’, কবি চিত্রগ্রাহক ও নির্মাতা আসমা বীথির ‘ইনসাইড আউট’, পঙ্কজ চৌধুরী রনির ‘ওভার দ্য উইন্ডো’ এবং মিতুল আহমেদের ‘রুগ্ন পৃথিবীর বারান্দায়’। টঙ আইসোলেশন সিরিজে ছয়টি শর্টফিল্ম ছাড়াও রয়েছে টঙটিম নি্র্মিত ‘ল্যান্ডস্কেপ অব সোল’ নামের একটি নৃত্যগীত।
যেখানে নাচের বিভিন্ন মুদ্রার মাধ্যমে এই অবরুদ্ধ সময়কে তুলে ধরেছেন নৃত্যশিল্পী জুয়েইরিযাহ মৌলি। আছে সুন্দর পৃথিবীর আবাহন। শর্টফিল্মগুলো নিয়ে টঙঘর টকিজের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্মাতা জুয়েইরিযাহ মউ বলেন: সামগ্রিকভাবেই করোনা মানুষকে নতুন বাস্তবতার সামনে দাঁড় করিয়েছে। নির্মাতারা তার ব্যতিক্রম নন। সিনেমা হল বন্ধ, শুটিং বন্ধ- কিন্তু স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নির্মাণের ক্ষেত্রে তো এগুলো তেমন প্রতিবন্ধকতা নয়! বরং আমরা দেখেছি, প্রতিবন্ধকতা চলচ্চিত্র কিংবা সৃষ্টিশীল কাজের নির্মাণশৈলী নিয়ে ভাবতে শেখায়। তার প্রমাণ টঙঘর টকিজে সদ্য প্রকাশ পাওয়া ছয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। যদিও এগুলোকে আমরা ‘আইসোলেশন ডায়েরি’ বলছি। তিনি বলেন, শিল্পীর স্বকীয়তা, স্বাধীনতা আর করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় অবরুদ্ধ জীবন- এ দুয়ের মনস্তাত্বিক টানাপোড়েনের গল্পগুলোই উঠে এসেছে প্রতিটি চলচ্চিত্রে।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- শর্ট ফিল্ম
- লকডাউন