করোনা ঝুঁকিতে ইউপি সচিবরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি চান

ঢাকা টাইমস প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২০, ২০:০৯

করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে তৃণমূল পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ সচিবরা। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪৪ জন ইউপি সচিব করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে তিনজন মারা গেছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তারা কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। করোনাকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা)।

সমিতি জানায়, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা সারাদেশের সাড়ে হাজার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাগরিকদের সেবা দিচ্ছেন। এরইমধ্যে তিনজন সচিব করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ২৪ জুন পর্যন্ত আক্রান্ত ৪৪ জন সচিব। করোনা ঝুঁকিতে আছে আরও সাড়ে চার হাজারের বেশি সচিব ও তাদের পরিবার।

সমিতির তথ্যমতে, মৃত্যুবরণকারী ইউনিয়ন পরিষদ সচিবরা হচ্ছেন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ের সচিব মো. আবুল হোসেন, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা ১১নং রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের প্রদীপ চন্দ্র সূত্রধর, পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউপি সচিব মো. হাফিজুর রহমান।

এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরা হলেন, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুন্সিগঞ্জ জেলার ইউপি সচিব এ এইচ এম রেজাউল করিম তুহিন, চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার শ্যামল চন্দ্র দাস, মুন্সীগঞ্জ জেলার মীর ইয়াছিন আলী, কুমিল্লা চান্দিনার বশিরুল ইসলাম, ঢাকার নবাবগঞ্জের দলীল উদ্দিন, নরসিংদী সদরের শাহআলম, চাঁদপুর কচুয়ার বিজয় কৃষ্ণ, কুমিল্লা দাউদকান্দির আব্দুল কাদির, মাদারীপুর শিবচরের আব্দুল আলিম, নোয়াখালী চাটখিলের মোস্তাফিজুর রহমান, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের রুহুল আমিন মজুমদার, চট্টগ্রাম সন্দীপের মো. আশরাফ, ফরিদপুর নাগরকান্দার পবিত্র শিকদার, চট্রগ্রাম বোয়ালখালীর কামরুল হাসান তালুকদার, চাঁদপুর কচুয়ার সেতারা আফরোজ, কুমিল্লা মুরাদনগরের আব্দুল হান্নান, সিলেট জকিগঞ্জের আব্দুস ছাত্তার, শেরপুর সদরের মারুফা আক্তার, কক্সবাজার জেলার আবদুল হক, চাঁদপুর কচুয়ার মুকবুল হোসেন পাটোয়ারি, ফরিদপুর নগরকান্দার সাইফুল আলম, নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারের জাহাঙ্গীর আলম, কুমিল্লা চান্দিনার বজলুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ীর ফরহাদ হোসেন, কক্সবাজার চকরিয়ার সাইফুল ইসলাম শিমুল, নীলফামারী জলঢাকার খাইরুল আজাদ মিঠু, ভোলার বোরহানউদ্দিনের মো. হোসেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নাজমুল হুদা লিটন, নোয়াখালী সুবর্নচরের ইমাম উদ্দিন আনসারী, শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জের এম এ কাশেম, শরীয়তপুর গোসারইহাটের জাকির হোসেন, নীলফামারী সদরের রাজু আহমেদ, বরিশাল উজিরপুরের মিজানুর রহমান, মাদারীপুরের বাদল চন্দ্র মজুমদার, রংপুর কাউনিয়ার মো. আকরাম হোসেন, বরিশাল মুলাদির তপোব্রত হালদার, মাদারীপুর শিবচরের সিরাজুল ইসলাম, কুমিল্লা সদর দক্ষিনের ইফতেখার মজুমদার, নওগাঁ পোরশার মেহেদী হাসান, কিশোরগঞ্জ সদরের নারায়ন সরকার, মাদারীপুর শিবচরের হাফিজুর রহমান ও জাহিদ হোসেন, খুলনা তেরখোদার নাছির উদ্দিন এবং পটুয়াখালী সদরের গোলাম কিবরিয়া। এদিকে মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, মাদারীপুর, সিলেট, পাবনা, ভোলা, রংপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় করোনার সংক্রমণ অনেক বেশি। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

সমিতি জানায়, করোনায় ইউপি সচিবরা অন্যান্য সরকারী কর্মচারীদের তুলনায় বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। তারা নিয়মিত ত্রাণ কার্যক্রম ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর, জেলেদের খাদ্যশস্য, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃত্বকাল ভাতা, মানবিক সহায়তা কার্ড, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মোবাইলে নগদ অর্থ প্রদান করছে। এছাড়া বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোমকোয়ারেন্টাইন, করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তিদের লকডাউন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। সরকারের করোনা মোকাবিলায় কোভিড-১৯ যোদ্ধা হিসেবে জনগণের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলার মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এবং বাপসা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু বকর মানিক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘করোনায় তিনজন সহকর্মীর মৃত্যুতে গত ২৩ জুন সারাদেশের সকল জেলা ও উপজেলায় কালো ব্যাজধারণ করা হয়। ২৪ ও ২৫ জুন সারাদেশের চার হাজার ৫৭১ ইউনিয়ন পরিষদে কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। নিয়মিত অফিস করেও ইউপি সচিবরা সরকারী ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা যেন আর বঞ্চিত না হই, আমাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। তিনি আমাদের দিকে তাকালে আমরা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা পাব।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও