করোনা মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সুযোগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সেনাপ্রধানের ধন্যবাদ
করোনা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সেনাবাহিনীকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনসহ সেনাসদস্যদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব পদবীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানসহ নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চলমান নির্দেশনা অনুসরণ করে দরবারের আয়োজন করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ভিটিসি এর মাধ্যমে সব সেনানিবাসে একযোগে সেনাবাহিনী প্রধান তার বক্তব্য দেন। সেনাবাহিনী প্রধান বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। এছাড়াও তিনি ভাষা আন্দোলনের শহিদদের এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আমরা সৈনিক এবং এই যুদ্ধে আমরা সর্বোতভাবে নিয়োজিত থেকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মদান করছি। দেশের এই ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনীকে জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগের সুযোগ দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সব সদস্যের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী প্রধান প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী তথা সব পদবীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ভূয়সী প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জনগণের সাহায্যে নিরলস প্রচেষ্টার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান, জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ড যেমন এন-৮ এক্সেস কন্ট্রোলড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে সেনাবাহিনীকে সুযোগ প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সব সেনাসদস্যকে নিষ্ঠার সঙ্গে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন। সেনাবাহিনীর সদস্যদের মনোবল অটুট রাখার লক্ষ্যে গৃহীত সময়োপযোগী কল্যাণমূলক পদক্ষেপসমূহ সবাইকে অবহিত করেন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসমূহ উপস্থাপন করেন। তিনি সেনাসদস্যদের আবাসন সমস্যা সমাধান, জীবন বীমা সুবিধা চালু করা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।