ঢাকার সাংস্কৃতিকর্মী তাপসের রহস্যজনক মৃত্যু সিরাজগঞ্জে
সিরাজগঞ্জ শহরতলীর নয়ন মোড মহল্লায় সৈয়দ গালিব হোসেন তাপস (৫২) নামে ঢাকার এক সাংস্কৃতিকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর পর পুলিশে খবর না দিয়েই লাশ তড়িঘড়ি দাফনের প্রক্রিয়া চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় তার চাচাতো ভাই তারেক হোসেনের বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মামুন ও ইব্রাহীম নামে দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদেৱ জন্য থানায় আনা হলেও পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী গ্রামে।
তার মেয়ে সৈয়দা মাহাজুবা হোসেন টুপুরের অভিযোগ, তার বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের ছাব্বিশা গ্রামে। ঢাকা এবং সিরাজগঞ্জে তার বাবার পৈত্রিক সূত্রে বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে। তার দাদার মৃত্যুর পর আমার দাদি ডলি খাতুন ও তার বোন শেলী খাতুন মিলে অধিকাংশ সম্পত্তি বেহাত করেছেন। সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউসের আশেপাশে দাদি ও অন্যান্য আত্বীয়স্বজনের মিলে গত কয়েকদিন আগে ৮০ লাখ টাকা মুল্যে জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা থেকে পাওনা ১৪ লাখ টাকা নিতে গত ৪দিন আগে বাবা সিরাজগঞ্জ আসেন। সিরাজগঞ্জ এসেই বাবার রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে।
টুপুর জানায়, আমার মা নেই। আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে না জানিয়েই বাবার লাশ তড়িঘড়ি ও রহস্যজনক দাফনের চেষ্টা করা হলে আমি বাধ্য হয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশকে জানাই। আমার ধারনা সম্পত্তির লোভে দাদি ও তার বোন এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজন মিলে বাবাকে খুন করেছে।
সদর থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের মেয়ে টুপুর গালিবের অভিযোগের ভিত্তিতে নয়নমোড়ের তারেক হোসেনের বাসা থেকে তাপসের লাশটি উদ্ধার করা হয়। তারেক হোসেন নিহতের চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মৃত তাপসের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমাজমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তার শরিকদের মধ্যে পূর্ব থেকেই ঝামেলা রয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। নিহত তাপস একজন সাংস্কৃতিক ও নাট্যকর্মী বলে তার মেয়ে জানিয়েছেন।