চুরির অভিযোগে কিশোরকে ‘বাঁশডলা’, মেম্বারসহ আটক ২
মসজিদের সোলার প্যানেলের ব্যাটারি চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন মাতব্বরের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানতে পেরে রাতেই পুলিশ সুপারের নির্দেশে ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। 
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের মংলারকুটি গ্রামে। আটকরা হলেন- ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাজু আহম্মেদ ও স্থানীয় মাতাব্বর জাফর আহম্মেদ।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দু’সপ্তাহ আগে মংলারকুটি মসজিদের সোলারের ব্যাটারি চুরি হয়। 
এরপর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চোর সন্দেহে ছনবান্ধা খলিসাকুড়ি গ্রামের জসীম উদ্দিনের ছেলে কিশোর মাহবুবুর রহমানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান ইউপি সদস্য রাজু, জাফর আলী মুন্সিসহ কয়েকজন। পরে তাকে জাফর আলী মুন্সির বাড়ির আঙ্গিনায় গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। 
এসময় সে চুরির বিষয়টি অস্বীকার করলে আরও বেশি নির্যাতন করা হয়। এ সময় তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত বাঁশডলা দিয়ে নির্যাতন করেন মংলারকুটি গ্রামের বাসিন্দা বলদিয়া ইউপি সদস্য রাজু আহম্মেদ, পেলকু মুন্সীর ছেলে জাফর আলী মুন্সি, ফজল কবিরাজের ছেলে আয়নাল হক, আব্দুল জলিল, মৃত সোনাউল্লার ছেলে জাহান উদ্দিন, মৃত আলী আহম্মদের ছেলে আব্দুল হান্নানসহ অন্নত ১০ থেকে ১২ জন। 
এ সময় কিশোর মাহাবুবুর রহমানের চিৎকারে মা মালেকা বেগম ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তার সামনে আরও বেশি করে নির্যাতন চালানো হয়। তার মা এগিয়ে আসলে তাকেও কিল ঘুষি মারা হয়। এক পর্যায়ে নির্যাতনে কিশোর অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার মাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে ছেড়ে দেন নির্যাতনকারীরা। পরে বাড়িতে আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় তাকে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                