করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প উদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ বিতরণে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না ব্যাংকগুলো। গত এপ্রিল ও মে মাসে মাত্র পাঁচটি ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বিতরণ করেছে ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে একটি ব্যাংকই বিতরণ করেছে ঋণের ৮০ শতাংশ। এমনি পরিস্থিতিতে প্যাকেজ বাস্তবায়নে তদারকি জোরদারের জন্য ১৫ দিন পরপর ঋণ বিতরণের হালনাগাদ তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একটি ব্যাংকের এমডি জানান, কিছু কিছু ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সক্ষমতা থাকার পরেও বিতরণ করছে না। কারণ এই মুহূর্তে ঋণ বিতরণ করলে তা খেলাপি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয়ত. বিদ্যমান ঋণও আদায় করা যাচ্ছে না।
উপরন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আরো তিন মাস ঋণ পরিশোধ না করলেও ব্যবসায়ীদের খেলাপি না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো ধরেই নিয়েছিল আগের ৬ মাস চলতি জুন মাসে শেষ হচ্ছে। অর্থাৎ আগে জুন পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের খেলাপি ঋণ না করতে নির্দেশনা ছিল। জুলাই থেকে ব্যবসায়ীদের চাপে রাখলে তারা কিছু টাকা পরিশোধ করতেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় আরো সুযোগ পেয়ে যান ব্যাংকিং খাতের চিহ্নিত ঋণখেলাপি ও রাঘববোয়ালরা। এ কারণে যেটুকু তহবিল তাদের হাতে আছে তা তারা হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না। স্বল্প মেয়াদে সরকারের ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করে মুনাফা নিতে চাচ্ছে।
একই সাথে আপৎকালীন সঙ্কট মেটাতে ট্রেজারি বিল বন্ধক রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তহবিল জোগাড় করতে পারবে। এ কারণে ব্যাংকগুলো এই মুহূর্তে ঋণ বিতরণ করতে চাচ্ছে না। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা বেশি হারে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ করতে উৎসাহিত হবেন বলে ওই এমডি জানান।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.