ফিক্সিংয়ে রাজি না হলে ক্যারিয়ারটাই শেষ হতে পারে : আকিব জাবেদ
মাখায়া এনটিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা তো বটেই, বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসারদের একজন। দুরন্ত গতি, সুইয়ং আর বাউন্সে যার বিপক্ষে রীতিমত দিশেহার হতেন ব্যাটসম্যানরা। তবে সেই এনটিনির যম ছিলেন ক্যারিবিয়ান বরপুত্র ব্রায়ান চার্লস লারা। জিম্বাবুয়ের সাবেক পেসার পমি এমবাংওয়ার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম আলাপচারিতায় লারার বিপক্ষে নিজের ভীতি আর দুর্বলতাকে রাখঢাক করেননি এনটিনি। বললেন লারার বিপক্ষে বল করতে চাইতেন না তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার মাখায়া এনটিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া আর ভারতের মাটিতে খেলা সব সময়ই কঠিন। কিন্তু এরচেয়েও কঠিন লারার বিপক্ষে বল করা। ১১ টেস্ট আর ১৭ ওয়ানডেতে ওকে মাত্র দুইবারই আউট করতে পেরেছি আমি।
তিনি ওইরকম ব্যাটসম্যানদের একজন, যার বিপক্ষে ঘুম থেকে উঠলাম আর বল করলাম, এমন করা যায় না। নিজেকে ১১০ শতাংশ প্রস্তুত রাখতে হয়। ম্যাচ গড়াপেটা বা ফিক্সিং ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। কোনভাবেই একে করা যাচ্ছে না বাক্সবন্দী। ফিক্সিংয়ের ঘটনায় সবচাইতে বেশি জড়িয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাই। কিন্তু কেন? সেই উত্তটাই তি দিয়েছেন আকিব জাবেদ। তার মতে ফিক্সিংয়ের হোতারা এতটাই শক্তিশালী, তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে শেষ হয়ে যেতে পারে ক্যারিয়ারটাই। পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাবেদ বলেন, দেখুন আমি মাত্র ১০ বছর ক্রিকেট খেলেছি।
অথচ আমার ক্যারিয়ার এতো ছোট হওয়ার কথা ছিলো না। সেলিম পারভেজের কাছ থেকে আমি প্রথমে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাই। দামি গাড়ি এবং কয়েক কোটি রুপি দেয়ার কথা বলে আমাকে বলা হয়েছিলো ম্যাচ ফিক্সিং করতে। সেইসঙ্গে বলা হয়, যদি রাজি না হই, তবে আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। তবুও আমি এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেই এবং সেখান থেকে নড়িনি। যদিও আমার এমন দৃঢ় অবস্থানের জন্য বিভিন্ন সফরেই বাদ পড়তে থাকি। অবশ্য এ নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই। তবে ভারতীয় পেসার শ্রীশান্তের ব্যাপারটা ভিন্ন।
২০১৩ সালে আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আজীবন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর যা নেমে আসে ৭ বছরে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদ। তাইতো আবারো প্রিয় নীল জার্সিতে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন শ্রীশান্ত। ৩৭ বছর বয়সী এই পেসার নিজেকে ফিট করছেন, কেরালা রাজ্য দলে জায়গা পেতে। ভারতের পেসার শান্তাকুমারন শ্রীশান্ত বলেন, এক সময়ে ভেবেছিলাম আত্মহত্যা করবো। পরে বুঝতে পারলাম আমি পরাজিতদের দলে কেন হবো! পরিবার আমাকে স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করেছে। আমি জানতাম আমাকে তাদের দরকার। তবে হতাশা কাটিয়ে উঠতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাকে।