পাকা চুলে এ কোন আমির খান!
‘চুল পাকিলেই লোকে হয় না বুড়ো’ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের গানটির প্রথম পঙ্ক্তি বলিউড তারকা আমির খানের জন্য যথার্থ। অবশ্য এ রূপে আমিরকে আগে দেখা যায়নি, ছোট ছোট করে কাটা সাদা চুল, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। তিনি যে শুধু বলিউড তারকা আমির খান নন, তরুণ অভিনেত্রী ও পরিচালক ইরা খানসহ আরও দুই সন্তানের বাবাও। তা ছাড়া কালে কালে তো আর কম বেলা হয়নি! অন্য রকম আমির খানের ছবিটা ইরা খানই প্রকাশ করলেন।
গতকাল বাবা দিবসে তাঁর ইনস্টাগ্রামে ছবিটি প্রকাশ করে ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘হ্যাপি ফাদার্স ডে! ধন্যবাদ তোমার মতো হওয়ার জন্য।’ ছবিতে নীল টি-শার্টে পাওয়া গেল আমিরকে, গালে হাত দিয়ে বসে রয়েছেন, মুখের চেনা হাসি। মেয়ের কল্যাণে ভক্তরাও দেখতে পেলেন তাঁদের প্রিয় নায়ককে।
পুরো নাম ‘মোহাম্মদ আমির হোসেইন খান’। অবশ্য ১৯৮৪ সালে প্রথম ছবি ‘হোলি’তে একমাত্র ক্রেডিট লাইনে পুরো নাম ব্যবহার করা হয়। সেই থেকে বছরের পর বছর বলিউড চকলেট বয় ছিলেন আমির খান। মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত আমির খানকে বলা হতো, বয়স ধরে রাখার ওস্তাদ। এখনো কলেজছাত্রের অভিনয়ে মানিয়ে যান খুব সহজে। যেখানে তাঁর সহপাঠী হন হাঁটুর বয়সী নবীনেরা। সেই ‘চকলেট বয়’ গতকাল চুলে পাক ধরা বাবা হিসেবে দেখা দিলেন। ছোট ছোট করে কাটা সাদা চুল, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। বাবাকে ভালোবাসায় জড়িয়ে রয়েছেন ইরা। যথারীতি হাজার হাজার মন্তব্য, লাইক। আমির খানের ‘দঙ্গল কন্যা’ ফাতিমা সানা শেখ লেখেন, ‘কী সুন্দর ছবিটা।’ কেউ বললেন, ‘উফ, কী সুন্দর ছবি!’
কেউ বললেন, ‘আমিরকে খুব ভালো লাগছে, সব সময়ই যেমনটা লেগে থাকে।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘বাহ, একদম বাবার মতো লাগছে সাদা চুলে।’ জানা গেছে, লকডাউনের শুরু থেকেই একসঙ্গে রয়েছে আমির খানের পরিবার। ইরা নিয়মিতই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান আপডেট দিয়ে থাকেন। কখনো সৎমা কিরণ রাওয়ের সঙ্গে তো কখনো সৎভাই আজাদ রাও খানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন ইরা।
আমির খান ও তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রিনা দত্তের মেয়ে ইরা খান। ২০০২ সালে ১৫ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন আমির-রিনা। আগের ঘরের অর্থাৎ জুনায়েদ ও ইরার দায়িত্ব নেন রিনা। তবে আমিরের সঙ্গেও শুরু থেকেই সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে তাঁদের। ১৯৬৫ সালের ১৪ মার্চ বোম্বেতে (মুম্বাই) তাহির হোসেন-জিনাত হোসেন দম্পতির ঘর আলো করে আসেন আমির খান।
১৯৭৩ সালে মাত্র ৮ বছর বয়সে চাচা নাসির হোসেনের চলচ্চিত্র ‘ইয়াদো কা বারাত’-এ শিশুশিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটে। তারপর ‘মঞ্জিল মঞ্জিল’ আর ‘জবরদস্ত’ নামের দুটি ছবিতে কাজ করেন চাচার সহকারী পরিচালক হয়ে। ৩৫ বছরে ৫টি ডিজাস্টারসহ ১৪টি ফ্লপ সিনেমার হিরো হওয়ার পরও আমিরই শুধু ভারত থেকে প্রথম শতকোটি রুপি আয়ের ক্লাবে প্রবেশ করা চলচ্চিত্রের হিরো। সেই তিনিই বলিউডের সর্বকালের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমার অভিনেতা।