টেলিযোগাযোগ খাতে পাঁচ শতাংশ বাড়তি কর বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চলতি মাসে ১৬ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার সক্রিয় সিম ও ১০ কোটি ১১ লাখ ৮৬ হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১০০ টাকায় ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর, ১ শতাংশ সার চার্জসহ মোট ৩৩.৫৭ টাকা দিচ্ছেন। বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী গত তিন মাসে এই খাতে গ্রাহক কমেছে প্রায় ২০ লাখ।
উচ্চ মূল্যসহ নানা কারণে ৫০ শতাংশ নাগরিক এই সেবায় আসতে পারছে না। যার ফলে, অনলাইন টিকিট কাটা থেকে বঞ্চিত থাকায় আজ যাত্রী সংকটের কারণে রেল বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। দেশের সকল আদালত ও স্কুল-কলেজ অনলাইন সেবার বাইরে রয়েছে। এই অবস্থায়, দুর্যোগের মুহূর্তে এই সেবায় কর বৃদ্ধি অন্যায়।’
তিনি জানান, গত পাঁচ বছর ধরে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের দিবাগত রাত থেকেই কর আদায় হয়েছে। যা গ্রাহকদের সঙ্গে ন্যায় বিচার করা হয়নি। এই অর্থ ফেরত চেয়ে ইতোমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেছি। এই নিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ও তথ্যমন্ত্রীও প্রতিবাদ করেছেন।বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি আরও বলেন, ‘আজ যদি শতভাগ নাগরিককে টেলিযোগাযোগ সেবার আওতায় আনা যেত তাহলে কর আদায় হতো প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিকের হাতে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া যেত। তাই এই কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের আবেদন জানাই।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.