সংখ্যা জটিলতায় লকডাউন নিয়ে বিভ্রান্তি!

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০, ১৮:৪৮

দেশে আদমশুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে, সে তুলনায় এখন জনসংখ্যা বেড়েছে অনেক। তাই জনসংখ্যার অনুপাতে লকডাউন কার্যকর নিয়ে জটিলতা হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন ঘোষণাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর যে জনসংখ্যা ধরে লকডাউনের কথা বলেছিল, কিছু কিছু এলাকায় সে জনসংখ্যার চেয়ে এখন অনেক বেশি মানুষের বসতি হওয়ায় লকডাউন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রেড-ইয়েলো-গ্রিন জোন ভাগ করার যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এমনও হয়েছে, কোনও এলাকার জনসংখ্যাই ১০ হাজার। সেখানে যদি একজন রোগী হন তাহলে তাকে কোন জোনে ফেলা হবে, কিংবা সে এলাকা রেড জোন হবে কিনা, এমন প্রশ্নও আসছে। আবার যদি কোনও এলাকার ১০টি বাড়িতে রোগী পাওয়া যায়, তাহলে সেই ১০ বাড়ি নিয়েই লকডাউন করা যায় কিনা সেটাও এখন ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। এসব কারণে পুরো বিষয়টি আবার রিভিউ করতে হচ্ছে। শুধু জনসংখ্যা দিয়ে এটা হয় না, আরও অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে জানিয়ে তারা বলছেন, সে ফ্যাক্টরগুলো নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। যে কারণে সময় লাগছে। লকডাউন নিয়ে এখনও পর্যালোচনার কাজই করে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এত কমিটির মধ্যে আমাদের মধ্যে এত বিশেষজ্ঞ যে একমত হওয়াটাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর এসব কারণে এখন একটা ম্যাপিং ‍টুল তৈরি করা হচ্ছে। এই ম্যাপিং টুলে অনেক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ইউনিট হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো জনবহুল এলাকায় রাস্তাসহ ম্যাপিং হচ্ছে। এটা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক দিয়ে এশিয়ায় এখন বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। প্রথম অবস্থানে ভারত। এর পরের অবস্থানে পাকিস্তান। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১৭তম।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৮৭তম দিনে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ৯৫তম দিনে ১২ জুন আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়েছিল, আর শনাক্ত হওয়ার ১০৩তম দিনে দেশে রোগী শনাক্ত হন এক লাখ ২ হাজার ২৯২ জন।

করোনাভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করতে পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন বলে মনে করে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা সারাদেশে আক্রান্ত ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে যতটা বড় এলাকায় সম্ভব জরুরি লকডাউনের সুপারিশ করে। কিন্তু লাখে ঢাকা শহরে কতজন হলে কোন এলাকাকে কোন জোন করা হবে সে বিষয়ে এর আগে বলা হলেও সেটা চূড়ান্ত হয়নি।

গত ১৪ দিনে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার ভেতরে ৬০ জন রোগী থাকার ভিত্তিতে রেড জোন ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়। তবে এটা কেবল ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য প্রযোজ্য। বাকি জেলাগুলোতে ১৪ দিনের ভেতরে ১ লাখ জনসংখ্যায় ১০ জন থাকলে সেটাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে।

প্রাথমিকভাবে পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন করা হলেও সব জায়গায় কেন লকডাউন কার্যকর হচ্ছে না জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাখে কতজনে লকডাউন হবে সেটা এখনও নির্ধারিত নয়। প্রথমে লাখে ৩০ বলা হলেও পরবর্তীতে সেটা ৬০ জন বলা হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও