লেনিন বেঁচে আছেন, থাকবেন
১৯১৭ সালে লেনিনের নেতৃত্বে নভেম্বর বিপ্লবের সাফল্য ও তাঁর সংগ্রামী কর্মকাণ্ড বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষকে মার্কসবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এ বছর তাঁর জন্মের দেড় শ বছর পালিত হচ্ছে পৃথিবীর সর্বত্র। কিন্তু পালিত হচ্ছে এমন এক সময়ে, যখন সমগ্র বিশ্বে করোনাভাইরাস অতিমারির চেহারা নিয়েছে। চার লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভাইরাস। ভয়াবহ হয়ে ওঠা এ ভাইরাসই সমাজ, রাষ্ট্র ও সর্বোপরি গোটা বিশ্বব্যবস্থার অন্দর ও বাইরের আবরণটাকে উন্মুক্ত করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মুমূর্ষু চেহারাটিকে। সবাই কমবেশি বুঝতে পারছেন পুঁজিবাদের নামে এত দিনের ফুলে ফেঁপে ওঠা বিশ্ব ব্যবস্থাটা আসলে রোগাক্রান্ত। পচন ধরেছে তার শরীরে। এই ব্যবস্থাকে বাতিল করা ছাড়া পথ নেই।
অতি ক্ষমতাধর দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিপর্যয়, কর্ম সংকোচন, নাগরিক নিরাপত্তার অভাব, বাজারে চাহিদা নেমে আসা—এসবই বলে দিচ্ছে বিপুল বিত্তের অধিকারী হলেও একই সঙ্গে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষ নিদারুণ বৈষম্যের শিকারে পরিণত হয়েছে। কেন এমন হলো তা বুঝতে অনেকেই এখন মার্কসের ’ক্যাপিটাল’ বা লেনিনের ’সাম্রাজ্যবাদ’ নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। অথচ উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলোতে একদা কান পাতলে শোনা যেত ব্যবস্থা হিসেবে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে নাকি পুঁজিবাদ। আর কথায় কথায় মার্কস-অ্যাঙ্গেলস-লেনিনের গালে চুনকালি মেখে দেওয়াটা ছিল তার একটা বনিয়াদি অভ্যাস।
১৯১৭ সালে লেনিনের নেতৃত্বে নভেম্বর বিপ্লবের সাফল্য ও তাঁর সংগ্রামী কর্মকাণ্ড বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষকে মার্কসবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। এ বছর তাঁর জন্মের দেড় শ বছর পালিত হচ্ছে পৃথিবীর সর্বত্র। কিন্তু পালিত হচ্ছে এমন এক সময়ে, যখন সমগ্র বিশ্বে করোনাভাইরাস অতিমারির চেহারা নিয়েছে। চার লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভাইরাস। ভয়াবহ হয়ে ওঠা এ ভাইরাসই সমাজ, রাষ্ট্র ও সর্বোপরি গোটা বিশ্বব্যবস্থার অন্দর ও বাইরের আবরণটাকে উন্মুক্ত করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মুমূর্ষু চেহারাটিকে। সবাই কমবেশি বুঝতে পারছেন পুঁজিবাদের নামে এত দিনের ফুলে ফেঁপে ওঠা বিশ্ব ব্যবস্থাটা আসলে রোগাক্রান্ত। পচন ধরেছে তার শরীরে। এই ব্যবস্থাকে বাতিল করা ছাড়া পথ নেই।
অতি ক্ষমতাধর দেশগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিপর্যয়, কর্ম সংকোচন, নাগরিক নিরাপত্তার অভাব, বাজারে চাহিদা নেমে আসা—এসবই বলে দিচ্ছে বিপুল বিত্তের অধিকারী হলেও একই সঙ্গে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষ নিদারুণ বৈষম্যের শিকারে পরিণত হয়েছে। কেন এমন হলো তা বুঝতে অনেকেই এখন মার্কসের ’ক্যাপিটাল’ বা লেনিনের ’সাম্রাজ্যবাদ’ নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। অথচ উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলোতে একদা কান পাতলে শোনা যেত ব্যবস্থা হিসেবে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে নাকি পুঁজিবাদ। আর কথায় কথায় মার্কস-অ্যাঙ্গেলস-লেনিনের গালে চুনকালি মেখে দেওয়াটা ছিল তার একটা বনিয়াদি অভ্যাস।
অনেকেরই মনে পড়বে, রক্ষণশীল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার বাজার অর্থনীতির ধুয়ো তুলে বলেছিলেন, ‘দেয়ার ইজ নো অলটারনেটিভ।’ উদ্বাহু রিগ্যান বলেছিলেন, ‘সরকার কোনো সমাধান নয়, বরং সমস্যা...।’ ভেঙে ফেলা বার্লিন দেয়ালের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার ঘোষণা ছিল—ইতিহাসের অবসান ঘটেছে, পুঁজিবাদই নির্বিকল্প সত্য।
এই অবস্থায় করোনার আবহে প্রতিবাদের নতুন পথের যেমন সন্ধান চলছে, তেমনি আওয়াজ উঠছে—সমাজতন্ত্রই বিকল্প। আবার নতুন করে উঠে আসছে মার্কস, অ্যাঙ্গেলস ও লেনিনের নাম। দু শ বছর, দেড় শ বছর পরও আজও একই রকম উজ্জ্বল এই ত্রয়ী।