কালীগঞ্জে পৌর এলাকার সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
রাস্তার বিভিন্ন স্থানে পিচ-খোয়া উঠে গেছে। ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই জমছে পানি। এর ওপর দিয়ে হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি। এ অবস্থা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পুরাতন বাজারের নলডাংগা সড়কের। সড়কের এমন বেহাল দশায় প্রায় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চলাচলকারী হাজারো মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা, বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এটি দশ গ্রামের জনসাধারণের যাতায়াতের প্রধান সড়ক। সড়কটি দিয়ে হাজারো যানবাহন নিত্যদিন যাতায়াত করেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। কালীগঞ্জ হাটচাদনী বাজারের সামনের সড়কটি উভয় পাশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে। চলাচলের বেহাল অবস্থা। অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। এখানে বড় বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে এ অংশ একাকার হয়ে যায়। সড়কে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
ঝিনাইদহে চাকরি করেন শিমুল বিশ্বাস। তিনি বলেন, এ সড়ক দিয়ে ঝিনাইদহে খুব সংক্ষিপ্ত রাস্তা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করি।
পথচারী রুবেল এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। তিনি বলেন, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীসহ কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। সড়কটির বেহাল দশার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
কালীগঞ্জ ফয়লা গ্রামের অটোরিকশা চালক মহিদুল ইসলাম বলেন, ছোট যানবাহন প্রায়ই উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। অসুস্থ মানুষের দুর্ভোগ দেখে কান্না আসে। পাঁচ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে আধা ঘণ্টা। কাভার্ড ভ্যান চালক বেলাল আহমেদ বলেন, গেল ১০ বছর যাবত এ এলাকার বাজারগুলোতে পণ্য দিতে আসি।