ফের অভিজিতের নিশানায় সালমান
বলিউডে তারকা পরিবারের বাইরে থেকে যারা আসেন, তাদের কি সত্যিই দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়? অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর এমন প্রশ্নেই তোলপাড় গোটা বলিউড। বৃহস্পতিবার ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত গায়ক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তবে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আবারও তিনি সুপারস্টার সালমান খানকে কাঁঠগড়ায় তুলেছেন। অভিজিৎ শুরু করেন বলিউডের নেপোটিজম প্রসঙ্গ দিয়ে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রি অবশ্যই পক্ষপাতদুষ্ট। তবে এটাকে খারাপ বলা যাবে না। কারণ, তারকাদের সন্তানরা বলিউডে না আসলে একটা আরডি বর্মণ হতো না। নেপোটিজম না থাকলে রাজ কাপুর, ঋষি কাপুর, আমির খান, সঞ্জয় দত্তের মতো তারকাদের জন্ম হতো না।’ এরপর তিনি বলেন সুশান্তের প্রসঙ্গে। জনপ্রিয় এই গায়ক মনে করেন, ‘আসলে সুশান্ত সিং রাজপুত নতুন প্রজন্মের হিরোদের জন্য হুমকি হয়ে গিয়েছিল। ও ছিল স্টার মেটিরিয়াল, গ্ল্যামারাস, রকস্টার। বলিউডে একটা ক্যাম্প আছে।
তারা ডিসাইড করে কাকে ছবিতে নেবে, কাকে প্রোমোট করবে আর কাকে বাদ দেবে। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু সুশান্ত নিজের চেষ্টায় জায়গা তৈরি করার পরও ওকে যে যে রকম ধ্বংসাত্মক পথে ধ্বংস করার চেষ্টা হলো, সেটাই খুব খারাপ।’ অভিজিৎ বলেন, ‘একটা জিনিস খুব ভালো। সোশ্যাল মিডিয়া আছে বলে মানুষ এখন এই প্রসঙ্গে কথা বলতে পারছে। সবকিছু শেয়ার করতে পারছে। মনের কষ্ট বলতে পারছে। বলিউডের এই নেপোটিজম রীতি সম্পর্কে মানুষ বহু আগে থেকেই জানে।কিন্তু কেউ বলতে পারত না। কারণ, বলার কোনো প্ল্যাটফর্ম ছিল না। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে সেসব প্রকাশ পাচ্ছে। এর পরই সালমান খানের প্রতি তোপ দাঁগেন গায়ক। বলেন, ‘সালমান পাকিস্তানি আর্টিস্টদের ডেকে অরিজিৎ সিং ও সোনু নিগমের মতো ভারতীয় গায়কদের গান ডাবিং করাত। শুধু বেশি জনপ্রিয় হওয়ার জন্য। দেখাতে চাইত ও অন্য কিছু। তার ভাবনাটা এমন, ভারতে আমি বড় তারকা, আমাকে কে সরাবে? কিন্তু পাকিস্তানে জনপ্রিয় হওয়ার জন্য তার পদক্ষেপটাকে বলা যায় দো কদম আগে।’
অভিজিৎ এমন অভিযোগও তোলেন, সালমান খান নাকি সিনেমায় গান গাওয়ানোর ব্যাপারে সবকিছু ঠিক করে দেন।