সরকারি কলেজগুলোকে অনলাইনে পাঠদান শুরু করতে দ্বিতীয় দফায় নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এ আদেশ অমান্য করাকে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বিরোধী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) মাউশি থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক সংকটের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এ জন্য উচ্চ মাধ্যমিকসহ ডিগ্রি, অনার্স সকল কোর্সের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেজন্য মাউশি’র পক্ষ থেকে অনলাইনে ক্লাস গ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও অনেক প্রতিষ্ঠান এখানো তা অনুসরণ করেনি। এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বিরোধী বলে মনে করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস গ্রহণে উদ্যেগী ভূমিকা গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
ফলে শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য প্রচলিত কারিকুলাম ও সিলেবাস অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনলাইনে ক্লাস গ্রহণের জন্য পুনরায় আহ্বান জানানো হয়েছে। অনলাইনে গ্রহণকৃত ক্লাসসমূহ প্রতিষ্ঠান প্রধানরা যাচাই বাছাই পূর্বক তা মনোনীত করে ফফমড়াঃপড়ষষবমবষ@মসধরষ.পড়স এ ঠিকানায় আপলোড করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কলেজ থেকে শিক্ষকদের করা ভিডিও ক্লাসগুলো মাউশির ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হবে। এসব ক্লাসে দেশের সকল শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। এ জন্য তিন শর্ত জুড়ে দেয়া হচ্ছে।
সেগুলো হচ্ছে- কোনো প্রকার ধর্মীয় উস্কানিমূলক, সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন সংলাপ, ছবি বা কনটেন্ট ব্যবহার না করা, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড প্রচারণা ও উপস্থাপন না করা এবং সরকার ও দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিরোধী কোনো বক্তব্য, সংলাপ, ছবি, কনটেন্ট ব্যবহার না করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সবের ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা দায়ী বলে বিবেচিত হবেন। অনলাইনে ক্লাস গ্রহণকারী শিক্ষকরা সরকারের আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হবেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমএইচএম/এমএফ/পিআর
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.