২৩ সেনা হত্যার বদলা নিতে চাপ বাড়ছে, কী করবেন মোদি?
সোমবার মধ্যরাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সৈন্যদের হাতে ২৩ ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর হিমালয় অঞ্চলে উত্তেজনা প্রশমনে চেষ্টা করে যাচ্ছে দুই দেশ। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে কেউ কেউ চীনকে শক্ত জবাব দেয়ার দাবি তুলেছেন। তাতে চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৩ জন সৈন্য নিহত হওয়া ছাড়াও গুরুতর আহত ১১০ সেনা। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, চীনের অন্তত ৪৩ জন হতাহত হয়েছে। যদিও চীন এ ব্যাপারে এখনো কোন কিছু জানায়নি।
একজন কর্নেলসহ মোট ২৩ সৈন্যের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুসছে গোটা ভারত। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী আজ সকালে টুইট করেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? তিনি কেন লুকাচ্ছেন? অনেক হয়েছে। কী ঘটেছে তা আমাদের জানা দরকার। আমাদের সৈন্য হত্যা করার এতটা সাহস কোথায় পায় চীন? তারা কীভাবে আমাদের ভূমি দখল করার সাহস দেখায়?'
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, 'চীন কখন দাঁতভাঙা জবাব পাবে? কোনো গুলি ছাড়াই ২৩ জন সৈন্য মারা গেল। আমরা কী করেছি? তৃণমূল কংগ্রেস এমপি মহুয়া মৈত্র বলেন, '২০১৯ সালে যেভাবে সার্জিকাল স্ট্রাইক করে জিতে গেল বিজেপি তা ছিল সত্যিই বিস্ময়কর এবং কী ঘটেছিল তার কোনো প্রমাণও আমরা কখনই পাব না। এখন নিহত ২৩ জন সৈন্যের মুখ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।'
এটা মোদির জন্য আরেকটি বড় আঘাত। চলমান নভেল করোনাভাইরাস সামলাতে সারাবিশ্বের মতো হিমশিম খাচ্ছে তার সরকারও। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, ভারতে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৪ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে ১২ হাজারেরও বেশি। সংক্রমন কমাতে বেশিরভাগ রাজ্যই লকডাউন বাড়িয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার জোড়া আঘাত পায় দেশটি। ২৩ সৈন্য হারানোর পাশাপাশি করোনা কেড়ে নেয় আরো ২ হাজারের অধিক মানুষের প্রাণ।