বাংলাদেশে এসে চমকে গিয়েছিলেন পেইন
জাতীয় অধিনায়ক এক সময় ছিলেন যুব দলের অধিনায়ক। ১৬ বছর আগে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন টিম পেইন। এত বছর পর স্মৃতির আয়নায় তাকিয়ে এই কিপার-ব্যাটসম্যান জানাচ্ছেন, বাংলাদেশ সফরে কত বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন তারা।
২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের বড় এক বিপর্যয়ে জাতীয় দলের নেতৃত্বের ভার চেপেছিল পেইনের কাঁধে। বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে তখন নিষিদ্ধ ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথরা। ভাবমূর্তি নিয়ে তখন প্রবল সঙ্কটে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট। পেইন দায়িত্ব নেওয়ার পর পায়ের নিচে জমি খুঁজে পেতে ধুঁকেছেন শুরুতে। পরে আস্তে আস্তে দাঁড়িয়েছেন শক্ত পায়ে। নেতা হিসেবে নিজেকে চেনাতেও শুরু করেছেন আলাদা করে। তবে বিশ্ব ক্রিকেট নেতা পেইনকে নতুন করে চিনলেও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে তার নেতৃত্বগুণের চর্চা হচ্ছে সেই বয়সিভত্তিক ক্রিকেটের দিনগুলি থেকে।
তখন থেকেই তাকে ভবিষ্যৎ অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক হিসেবে দেখেছেন অনেকে। পরবর্তীতে সাত-আট দফায় চোট আর ব্র্যাড হাডিনের উত্থান মিলিয়ে সেভাবে আর নিজের জায়গা করে নিতে পারেননি পেইন। ২০১৭-১৮ অ্যাশেজের আগে তাকে আবার ফেরানো হয় টেস্ট দলে। ‘বুড়ো’ পেইনকে ফেরানোয় তখন সমালোচনাও হয়েছিল অনেক। ঘটনাক্রমে তিনিই পরে হয়ে যান দলের দুঃসময়ে দলের ত্রাণকর্তা।বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে পেইনের নেতৃত্বগুণ ও আজকের পর্যায়ে উঠে আসা, সবকিছু দারুণভাবে উঠে এসেছে ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর একটি লেখায়। সেখানেই পেইন স্মৃতিচারণা করেছেন বাংলাদেশে ২০০৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে।“
অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্বে দেওয়ার সম্মান পেয়েছিলাম আমি। ওই সময়ের যেটি সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে প্রথমবার যাওয়া, চোখ খুলে দেওয়ার মতো ব্যাপার ছিল সেটি, তেমন কিছুর অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। আমার মনে আছে, ওখানে প্রথম সপ্তাহে ছেলেরা সবাই ধাক্কা খেয়েছিল যে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা যেভাবে অভ্যস্ত, সেসবের চেয়ে কতটা আলাদা ওখানে। তরুণ একটি অস্ট্রেলিয়ান দলের জন্য সেখানে যাওয়া ও সেই অভিজ্ঞতা ছিল বড় একটি চ্যালেঞ্জ।”চ্যালেঞ্জ বলতে পেইনের ইঙ্গিত মূলত বাংলাদেশের আবহ, কন্ডিশন ও পারিপার্শ্বিক বাস্তবতা নিয়ে। বিশেষ করে স্পিন খেলার ক্ষেত্রে। অস্ট্রেলিয়ায় উঠতি ক্রিকেটাররা স্পিন খেলার শিক্ষা ততটা পায় না। ওই সফর তাই যেমন পরীক্ষা ছিল, তেমনি এখনও স্পিন খেলা বড় পরীক্ষা, বলছেন ৩৫ বছর বয়সী পেইন।“ স্পিন খেলার কথাও মনে পড়ে আমার, ভাবছিলাম, ‘এটা কতটা কঠিন!’ এবং গত ১৫-১৬ বছরেও তা বদলায়নি।”