যুবলীগের প্রচেষ্টায় বদলে গেলো আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
পাল্টে দেয়া হচ্ছে বিছানার চাদর। ঝাড়ু হাতে ফ্লোর পরিষ্কার করছেন মেয়র। সঙ্গে থাকা কারো হাতে ময়লা রাখার বস্তা। কেউ জীবাণুনাশক ছিটিয়ে বেড়াচ্ছেন। কারো ব্যস্ততা সিলিং ফ্যান, বৈদ্যুতিক বাতি নতুন করে লাগানোর কাজে। কেউ করছেন মেরামত। আগাছা পরিষ্কারের কাজও চলছে যথারীতি। এভাবে ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় বদলে গেলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র।
উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে সোমবার (১৫ জুন) সকালে হাসপাতালটিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর পর যেন প্রাণ ফিরে পাওয়ার অবস্থা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌরসসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে অর্ধশত নেতাকর্মী সকাল সোয়া ১০টার দিকে পরিচ্ছন্নতার কাজে নামেন। প্রথমেই তারা রোগীদের ওয়ার্ডের ফ্লোর ও টয়লেট পরিষ্কার করেন। সেখানে ২৪টি নতুন বিছানার চাদর, তিনটি সিলিং ফ্যান ও ১৫টি নতুন লাইট নেয়া হয়। পরে ইলেক্ট্রিশিয়ানের মাধ্যমে বিকল বাতি ও ফ্যানগুলো অপসারণ করে নতুন বৈদ্যুতিক বাতি ও ফ্যান স্থাপন করা হয়। এ সময় হাসপাতালের নতুন ভবন ও আশেপাশেও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। জেলা পরিষদ সদস্য মো. আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আব্দুল মমিন বাবুল, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দীপক কুমার ঘোষ, পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মনির খান, আবু কাউছার ভূঁইয়া, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ এতে অংশ নেন।
এ সময় হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. রাশেদুর রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার শ্যামল কুমার ভৌমিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগ নেতা আব্দুল মমিন বাবুল বাবুল জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে সবাই খুব আন্তরিকভাবে এ কাজে অংশ নিয়েছেন। প্রতিমাসেই যুবলীগের উদ্যোগে এটা করা যায় কি না সে বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. মনির খান জানান, আইনমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই আমরা মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।