মানুষ কেন ফউসিকে অবিশ্বাস করে?

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২০, ০১:২৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্য রাজনীতিবিদরা অ্যান্থনি ফউসির মতো বিজ্ঞানীকে প্রায়ই সমালোচনায় বিদ্ধ করেন, যিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক। কভিড-১৯-এর মহামারীকালে জনসম্মুখে বেশ পরিচিত মুখও তিনি। যখন বিজ্ঞানীরা সার্বিকভাবে মহামারীর তীব্রতার বিষয়ে মতৈক্য পোষণ করেছেন এবং এর হাত থেকে বাঁচার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলছেন, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্টসহ কিছু রাজনীতিবিদ সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

উদারপন্থীরা প্রায়ই রক্ষণশীলদের বিজ্ঞানে অবিশ্বাসী হিসেবে চিত্রিত করে। কিন্তু আমাদের সংগৃহীত প্রমাণ বলছে, বেশির ভাগ আমেরিকান রাজনৈতিক আদর্শ নির্বিশেষে বিশ্বাস করে যে বিজ্ঞানীরা পরিস্থিতি বুঝতে মহামারী নিয়ে গবেষণা করছেন।বিজ্ঞানীদের যোগ্যতা বনাম মূল্যবোধ সম্পর্কে বিশ্বাসের এই পৃথক্করণ চিহ্নিত করার জন্য মে মাসের শুরুতে আমরা একটি গবেষণা চালিয়েছিলাম। যেখানে ১ হাজার ৫০০ আমেরিকান অংশ নেন।

আমরা খুঁজে বের করতে চেয়েছিলাম, করোনাভাইরাস নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের কতটা প্রভাব থাকা উচিত বলে আমেরিকানরা মনে করে। সেসব মানুষের জন্য সুসংবাদ যারা চায় বৈজ্ঞানিকদের দারুণভাবে প্রভাব থাকুক, তাদের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ। ২৫ শতাংশ মনে করে, ভালো পরিমাণ প্রভাব থাকা উচিত। মাত্র ৭ শতাংশ চায় অল্প প্রভাব থাকুক। মাত্র ৩ শতাংশ বলেছে তারা এর কিছুই চায় না। অর্থাৎ বেশির ভাগ মানুষই চায় কভিড-১৯ মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত নিতে বিজ্ঞানীদের গুরুত্ব দেয়া হোক। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সংশয়বাদ। এ ধারা রক্ষণশীলদের মধ্যে বেশি শক্তিশালী, যারা সাম্প্রতিক সময়ে ফেডারেল পলিসি মেকার্সদের সঙ্গে যুক্ত।

আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম যেসব বিজ্ঞানী মহামারী নিয়ে গবেষণা করছেন, তারা করোনার বিস্তৃতি সম্পর্কে কতটা বুঝতে পারেন। এক্ষেত্রে পাঁচটি সম্ভাব্য জবাব নির্ধারণ করা ছিল। প্রায় অর্ধেকই বলেছেন ‘খুব ভালো’ বুঝতে পারেন। আট ভাগের এক ভাগ মনে করেন ‘কিছুই বুঝতে পারেন না’। সাধারণত মানুষ বিজ্ঞানীদের দক্ষতার ওপর বিশ্বাস রাখে। তাহলে কভিড-১৯ সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণে বিজ্ঞানীদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিরোধিতা কেন? উত্তর হচ্ছে মূল্যবোধ। আমরা তাদের জিজ্ঞেস করেছি নিম্নোক্ত বক্তব্যের সঙ্গে তারা একমত কিনা, ‘যদি বিজ্ঞানীরা যারা মহামারী নিয়ে গবেষণা করছেন তাদের এ সময়ে জীবন ও মৃত্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তারা যে মানগুলো ব্যবহার করবেন তা আমার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে।’

কেউ কেউ শক্তিশালীভাবে দ্বিমত পোষণ করেছেন। বিজ্ঞানীদের বোঝার ব্যাপারে প্রশ্নের চেয়ে প্রতিক্রিয়াগুলো বেশি বিভাজিত ছিল। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে সাধারণভাবে যে উত্তরটি বাছাই করা হয়েছে, তা ছিল পরস্পরবিরোধী। পক্ষেও না, বিপক্ষেও না। এখন ফউসির মতো বিজ্ঞানীদের জন্য চ্যালেঞ্জের বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞানীরা যে মূল্যবোধ ব্যবহার করবেন তার ভিত্তি জনগণ নয়, তার ভিত্তি হবে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানের লোকজন। সাধারণত অল্পশিক্ষিত, নিম্ন আয়ের মানুষ বিশ্বাস করে না যে বিজ্ঞানীরা তাদের মূল্যবোধের পক্ষে কথা বলে। এক্ষেত্রে ট্রাম্পের সমর্থকরা বিজ্ঞানীদের সমর্থন করলেও সাধারণ মানুষের মত বদলায় না। 

এ অবস্থার কারণে ফউসির মতো বিজ্ঞানীদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। একদিকে ডাক্তারি পেশা কিছু নির্দিষ্ট মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমন জীবন রক্ষা করাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। এটা তার জন্য কঠিন যে কথা বলার সময় এই মূল্যবোধের বাইরে যাওয়া। যেহেতু তার বিজ্ঞানের গোটা বিষয়টাই হচ্ছে মূল্যবোধের পরিষেবা করা।কিন্তু অনেকেই মনে করেন বিজ্ঞানীদের মূল্যবোধ অনেক সময় তাদের ব্যক্তি মূল্যবোধের মতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও