কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লটারি ছাড়াই ৭০ লাখ টাকার কাজ ভাগ-বাটোয়ারা!

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২০, ০৯:৫৬

নাটোরের লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ৭০ লাখ টাকার কাজ টেন্ডার লটারি ছাড়াই ভাগ-বাটোয়ারা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অংশগ্রহণকারী অন্য ঠিকাদাররা। তাদের অভিযোগ ওটিএম (খোলা ডাক) পদ্ধতিতে আহ্বানকৃত সাতটি কাজের একটি টেন্ডার প্যাকেজের ৭০ লাখ টাকার ওই কাজ টেন্ডার লটারির পরিবর্তে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদের ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের অনুসারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

টেন্ডারে লটারি না হওয়ায় কবে কাজ ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে তাও তারা জানেন না বলে জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারী অন্য ঠিকাদাররা। তারা বলেন, হঠাৎ করেই চিনিকল কর্তৃপক্ষ লটারির দিন উপস্থিতির স্বাক্ষরপত্রে স্বাক্ষর নিতে এলে জানতে পারেন কাজগুলো ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে গেছে। 

এদিকে মিল কর্তৃপক্ষের দাবি, যথাসময়ে এবং সব নিয়মনীতি মেনেই টেন্ডার হয়েছে। এ অভিযোগ সত্য নয়। তাই কারো কাছ থেকে স্বাক্ষর আদায়ের প্রশ্নই আসে না।  এদিকে নর্থ বেঙ্গল চিনিকল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহ্বান করেন চিনিকলের পুরাকৌশল বিভাগের ব্যবস্থাপক আবু সালেহ। বিজ্ঞপ্তিতে চিনিকলের নিরাপত্তা অফিস থেকে সাধারণ ভান্ডার পর্যন্ত রাস্তা, স্পেস মাট ইয়ার্ড থেকে স্প্রে পণ্ড মোটর পর্যন্ত রাস্তা, মিল মন্দিরের রাস্তা, অফিস কলোনির এপ্রোচ রাস্তার বিটুমিন কার্পের্টিং, কারখানার অভ্যন্তরের রাস্তা আরসিসিকরণ, ইক্ষু হিসাব ও নির্মাণ শাখার অফিস মেরামত, ব্যাগিং হাউস ও ইন্টারমিডিয়ের গোডাউন সিসিঢালাই, ব্যাগাস ইয়ার্ড উন্নয়নকরণ, স্প্রে পণ্ড মোটরের ঘর সংস্কার ও বড়াল খামারের গয়লার ঘোপ এলাকার একটি রাস্তা এইচবিবিকরণ কাজগুলোর সাতটি ভাগে ভাগ করে প্রতিটি ৫০০ টাকা মূল্যের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

এসব কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয় ৭০ লাখ টাকা। অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় এ অনিয়ম করা হয়েছে। তাই ভাগ-বাটোয়ারার কার্যাদেশ বাতিল করে প্রকাশ্য লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।    টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী বৈশাখী এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী শান্ত হোসেন বলেন, টেন্ডার কবে হয়েছে তা জানতেই পারিনি। হঠাৎ শুনি কাজ ভাগাভাগি হয়ে গেছে। যারা দরপত্র কিনেছিলেন তাদের অনেকেই জানতেন না কবে টেন্ডার হয়েছে। একটি তারিখে টেন্ডারের লটারি অনুষ্ঠিত দেখিয়ে অংশগ্রহণকারী অনেকের উপস্থিতির স্বাক্ষর নিতে শুনেছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও