দেশে উৎপাদন বাড়াতে আমদানির পেঁয়াজে শুল্কারোপ
দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকের উৎসাহ ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে পাঁচ শতাংশ শুল্কারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্কারোপের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমানে প্রচুর পেঁয়াজের চাষ হচ্ছে। কিন্তু আমদানিকৃত পেঁয়াজের শুল্কহার বিদ্যমান থাকায় দেশীয় পেঁয়াজ চাষিরা উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ভবিষ্যতে পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রে চাষিরা নিরুৎসাহিত হতে পারে। তাই দেশের পেঁয়াজ চাষিদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও পেঁয়াজ চাষে উৎসাহ প্রদান এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা হ্রাসের লক্ষ্যে পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা আমদানি শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ফারাক মাত্র দুই লাখ টনের। বছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২৩ লাখ টনের ওপরে। আর চাহিদা রয়েছে ২৪ থেকে ২৫ লাখ টনের। তারপরও শুধু নষ্ট হওয়ার কারণে বছরে আট থেকে দশ লাখ টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।