বিএনপি জামাত পূনর্বাসিত, আপনারা ব্যস্ত কামড়াকামড়িতে!
আমার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপায়। একসময় সেখানে সর্বহারা পার্টির দোর্দণ্ড প্রতাপ ছিল। এখনও তার আঁচ রয়ে গেছে। বেড়ে ওঠার সময়টাতে খুউব সমরেশ পড়তাম। সেই থেকেই নকশাল বাড়ি মাথার মধ্যে গেঁথে আছে। আমি যে এখনো কাউকে খুব একটা পরোয়া করি না সেটা মনে হয় আমার মজ্জাগত। সর্বহারার হারানোর ভয় কি? নতুন করে কিই বা আর হারানোর আছে?
হলে থাকতে দেখতাম টিভির রিমোট নিয়ে খবরদারি করতো সেই মেয়েটা যার বাড়িতে হয়তো বিদ্যুৎই পৌঁছায়নি। যেকোনও ঝামেলা হলে সবার আগে গাড়ি ভাঙতে দৌঁড়ায় সেই ছেলেটা যার হয়তো সারাজীবনে একটা বাইসাইকেল কেনারও সামর্থ্য হয়নি। নিজের না পাওয়া আর অতৃপ্তি থেকেই এক ধরনের রাগ ক্ষোভ বিতৃষ্ণা জন্ম নেয়। আমরা অধিকাংশ মানুষই শারীরিক সমস্যার কারণে অসুস্থ হই না, অসুস্থ হই অন্যের সুখ আর সফলতা দেখে।
ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনে যে মানুষ যতটা অসফল তার ঈর্ষা ততটা বেশি। নিজের সমস্ত অপ্রাপ্তির যন্ত্রণা অন্যের প্রাপ্তিতে কালিমা লেপন করে মেটাতে চায় সে/তারা। অথচ নিজের কাজটুকু যদি ঠিকমত করতো বা তার উপর অর্পিত দায়িত্বটা যদি সঠিকভাবে পালন করতো তাহলে হয়তো তাকে নিয়েও লেখা হতো কোনও মহাকাব্য। ঈর্ষার আগুনে পুড়ে প্রতিদিন কতশত মানুষ জ্বলে যায়। অন্যের সফলতা আর সুখ অনেকের সবচেয়ে বড় অসুখ!
মানুষ না বাঁচলে দেশ, জাতি, ধর্ম, রাজনীতি কিছুই থাকবে না। অতিকথন বন্ধ করেন। আমাদের পৃথিবীটা আজ ভয়াবহ সংকটের মুখে। অতীতে মানুষ সব সংকট কাটিয়ে উঠে লড়াইটা চালিয়ে গেছে এবং শেষপর্যন্ত মানুষই জিতেছে। অলৌকিক বা অশরীরী কেউ নয়, মানুষের ইচ্ছেশক্তির তীব্রতাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখবে, এই মহাদুর্যোগে জিতিয়ে দেবে।