করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশের মানুষকে সেবা দিতে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার রোববার (৭ জুন) বিকালে কাতার এয়ারওয়েজের চার্টার্ড ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পরে সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যায়। তিনি সঙ্গে নিয়ে এসেছেন করোনাভাইরাসে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। এর মাঝেই দেশে একটি মহল তাকে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের স্বজন বলে দাবি করে।
মূলত পিআইবির মহাপরিচালক ডাকসুর সাবেক সাহিত্য সম্পাদক জাফর ওয়াজেদের স্ট্যাটাসেই ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। জাফর ওয়াজেদ তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘খুনিদের স্বজন। বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্ণেল রশীদের খালাতো ভাই ও খুনি মুশতাকের ভাগ্নে আমেরিকা হতে ঢাকায় আসা নিয়ে ফেসবুক, সংবাদপত্রে তোড়জোড় কদিন ধরেই। করোনাকালে চিকিৎসা সেবা প্রদানের নামে তার এই আগমনে তোলপাড়। কতিপয় আওয়ামী সমর্থক ফেসবুকে তাকে প্রায় মহামানবের স্তরে নিয়ে গেছে। কুমিল্লার দেবিদ্বারের এই তিনি তারেক রহমানের ডোনার। চমেকের ছাত্রটি আমেরিকা হতে আসার আগে লিখেছেন—"আমি আসছি"।’
বঙ্গবন্ধুর খুনীদের স্বজন হিসেবে প্রচারণার বিষয়ে নিজের অবস্থান জানিয়ে ডা. ফেরদৌস ফেসবুকে লিখেছেন, প্রিয় বাংলাদেশ। দেশে এসেছিলাম নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা নিয়ে সবার পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে। তার জন্যে জীবনের ঝুঁকি নিতেও আমি পিছপা হইনি। যখন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে আমি দেশে এসেছি, তখন একদল লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি খুনি খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা কিংবা খুনি কর্ণেল রশিদের খালাতো ভাই। অথচ পুরো বিষয়টি কাল্পনিক। আমার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। কুমিল্লায় বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের বাড়ি। কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য জেলা। কুমিল্লায় বাড়ি হলেই কেউ খুনি মোশতাকের ভাতিজা কিংবা কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই হয়ে যায় না। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এই দুই খুনির সাথে আমার পারিবারিক কিংবা আদর্শিক কোন সম্পর্ক নেই। বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি ,তাদেরকে চরম ঘৃণা করি। ফলে যারা এই খারাপ কথাগুলো ছড়াচ্ছেন, বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার; ভালো কাজে বাধা দেয়া। এটা অন্যায়। আমি তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রমাণের জন্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। যদি মনে করেন আমার সেবা আপনাদের দরকার, তাহলে পাশে থাকুন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.