কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দেরিতে হলেও ‘ট্রায়াজ’ নিশ্চিত হচ্ছে রাজধানীর বড় হাসপাতালগুলোতে

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২০, ২১:৫৭

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোভিড এবং নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব হাসপাতালে কোভিড এবং নন কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার প্রধানতম শর্ত হচ্ছে হাসপাতালে ট্রায়াজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্তের হার আশঙ্কাজনক হওয়ার প্রধান কারণ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা ‘ফেইল’ করা এবং দেশের নন কোভিড হাসপাতালগুলোতে ট্রায়াজ ব্যবস্থাপনা না থাকা। তবে দেরিতে হলেও রাজধানীর প্রধান হাসপাতালগুলোতে ট্রায়াজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ঢাকার অন্যান্য হাসপাতাল এবং বাইরের হাসপাতালগুলোতেও এই ব্যবস্থাপনা চালুর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং হাসপাতালগুলো এমন ব্যবস্থা নিশ্চিতে তৎপর হয়েছে।

কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিশ্বের বেশিরভাগ হাসপাতাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত ট্রায়াজ (কোভিড সন্দেহভাজন রোগী বাছাই প্রক্রিয়া) ব্যবস্থাপনা মেনে সন্দেহভাজন রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে বিশ্বের নানা দেশে। এই ব্যবস্থাপনা যেসব হাসপাতালে সুচারুভাবে মেনে চলা হচ্ছে সেগুলোতে রোগী থেকে রোগীতে এবং রোগী থেকে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কর্মীদের মধ্যে করোনা ছড়ানোর হার একেবারেই কম। বিশ্বের সব উন্নত দেশ এমনকি পাশের দেশ ভারতেও এই প্রক্রিয়ায় রোগী বাছাই হচ্ছে। ভারতের কেরালা ও কর্নাটকে এই ট্রায়াজ ব্যবস্থাপনা থাকায় সেখানে কোভিড রোগীদের শনাক্ত ও চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া গেছে।

ট্রায়াজ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত একটি বিশ্বজনীন রীতি (ইউনিভার্সেল প্রটোকল)। ট্রায়াজ শব্দের অর্থ আলাদা করা বা বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা। করোনার ক্ষেত্রে কোনও রোগীকে লক্ষণ অনুযায়ী ভাগ করে চিকিৎসা দেওয়া হলে তাদের থেকে সংক্রমণের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে যায়। জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট এসব উপসর্গ নিয়ে কেউ এলে তাদের কোথায় যেতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া থাকে এতে। এমনকি এ ধরনের রোগীর টিকিট কাউন্টারেও যেতে মানা। সোজা কথায়, অন্য সব রোগীর সংস্পর্শে যাতে কোভিড আক্রান্ত রোগীকে যেতে না হয় তার সব ব্যবস্থাই থাকে ট্রায়াজে।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এখন পর্যন্ত নয়জন চিকিৎসক মারা গেছেন করোনাতে আক্রান্ত হয়ে, চারজন মারা গেছেন করোনার লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে আর করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮শ’র বেশি চিকিৎসক।

চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিস (এফডিএসআর) এর যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত ৯৭১ জন চিকিৎসক করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১২ জন আর করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চারজন। নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৩০ জন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও