কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাড়তি নেয়া লক্ষাধিক টাকা ফেরত দিলো আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল

পূর্ব পশ্চিম প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২০, ২১:১৬

করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক রোগীর চিকিৎসার বিল হিসেবে দেড় লাখ টাকা আদায় করার একদিন পর ৩৪ হাজার টাকা রেখে বাকিটা ফেরত দিয়েছে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাইফুর রহমান নামের ওই রোগীর ছোট ভাই আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত পেয়েছেন তারা। বাকি টাকা বিভিন্ন বিল দেখিয়ে কেটে রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আপনারা পাশে ছিলেন বলে অন্তত এই টাকাটা পেলাম।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৩ মে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী সাইফুর। সেরে ওঠার পর ২ জুন ছাড়পত্র দেওয়ার সময় ১১ দিনে চিকিৎসার ব্যয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। বিল দেখে তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। অথচ আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালকে সরকার ‘কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল ঘোষণা করেছে এবং চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করবে জেনেই সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মী সাইফুর।

সুস্থ হওয়ার পর মঙ্গলবার বিকালে চিকিৎসকের ছাড়পত্র মিললেও বিলের জন্য হাসপাতাল সাইফুরকে ছাড়ছিল না। পরে ধারদেনা করে বহু কষ্টে দেড় লাখ টাকা জোগাড় করেন সাইফুরের ছোট ভাই আরিফুর। তাই দিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তারা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান মঙ্গলবার রাতে বলেন, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল ‘কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। সুতরাং সেখানে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীর খরচ সরকারই বহন করবে। হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ রোগীর কাছ থেকে টাকা নিতে পারে না। আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল এখন সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি থেকে বের হয়ে যেতে চাইছে। তারা চাইলে মিনিস্ট্রিও হয়তো ছেড়ে দেবে। কিন্তু ৩১ মে পর্যন্ত কোনো বিল নেওয়া চলবে না। বিল ধরলে ১ জুন থেকে বিল নেবে। এই কয়দিন তারা সরকারি হিসাবে চলেছে।

আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এহতেশামুল হক রাতে বলেন, মে মাসেই সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে হাসপাতাল। এ কারণে রোগীকে নিজেই চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হবে। সাইফুরের ক্ষেত্রে কীভাবে ছাড় দেওয়া যায়, সে ব্যবস্থা তারা করবেন। সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, করোনা আক্রান্ত রোগীর ৩১ মে পর্যন্ত চিকিৎসার কোনো টাকা নেব না। যদি কারও নেওয়া হয়ে থাকে, তা ফেরত দেওয়া হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও