কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা চিকিৎসার বিল ১৭০৮৭৫ টাকা, ‘সরি’ বলে টাকা ফেরত

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২০, ১৯:৩০

সাইফুর রহমান নামে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ১১ দিন থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। শেষে ছাড়পত্র পাওয়ার সময় বিল দেখে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা তার। চিকিৎসা ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকা। পরে হাসপাতালটির কর্মচারীদের ভুল বুঝতে পেরে ‘সরি’ বলে হিসাব করে টাকা ফেরত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে সাইফুর রহমান নামের ওই রোগীকে সেখান থেকে ফোন করে যেতে বলা হয়। রোগীর ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম সুমন যাওয়ার পর তাকে ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৫ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে হাসপাতালটি। তবে গত ৩১ মে সরকার নির্ধারিত ‘কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল’ তালিকা থেকে সরে আসায় ওই রোগীর কাছ থেকে ১ ও ২ জুনের বিল কেটে রেখেছে আনোয়ার খান মডার্ন কর্তৃপক্ষ।


গত ২৩ মে করোনা ধরা পড়ার পর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন সাইফুর রহমান। মঙ্গলবার ছাড়া পান তিনি। ১১ দিনে চিকিৎসার ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকা। টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে বের হতে পারছিলেন না। গতকাল রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালে আটকে রাখা হয় তাকে। শেষমেশ অনেক অনুরোধ করে দেড় লাখ টাকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। সাইফুর রহমান মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, আমার কোনো অপারেশন হয়নি। আইসিইউতে ছিলাম না। অক্সিজেন নেয়া লাগেনি। দুটি এক্সরে ও দুটি রক্ত পরীক্ষা করিয়েছে।


কেবল নাপা ও গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট দেয়া হয়েছে। বাকি ওষুধ বাইরে থেকে কিনেছি। অথচ বিল এসেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকা! রোগীর পরিবারকে টাকা ফেরত দিয়ে আনোয়ার খান মডার্ন কর্তৃপক্ষ বলে, সবাইকে জানাবেন, আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বিলটি এমন হওয়ার কথা ছিল না। এছাড়া পরিবারটিকে ‘সরি’ বলে দুই দিনের বিল রেখেছে তারা। টাকা ফেরত দেয়া প্রসঙ্গে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. ইহতেশামুল হক বলেন, আমরা টাকা ফেরত দিয়েছি। গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ, আপনারা যদি আমার দৃষ্টিতে বিষয়টি না আনতেন, তাহলে রোগীরা উপকার পেতো না।


আমাদের কর্মীরা আরো ভুল করতো। আমাকে সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। সাইফুর রহমানের বিলের কাগজে দেখা গেছে, ২ জুন পর্যন্ত চিকিৎসকের খরচ ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৭০০ টাকা, হাসপাতাল বিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৭০ টাকা, ইনভেস্টিগেশন বিল ১৯ হাজার ৪৭৫ টাকা, ওষুধের বিল ৫ হাজার ২২৬ টাকা ৮৫ পয়সা, এর সঙ্গে সার্ভিস চার্জ ১২ হাজার ৯০৩ টাকা। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ টাকা ৮৫ পয়সা। মোট বিল আসে ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকা।


গতকাল রাতে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. ইহতেশামুল হক বলেন, সরকারের সঙ্গে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে আমাদের যে চুক্তি হয়েছিল, তা গত ৩১ মে থেকে বাতিল করেছি। সরকারের সঙ্গে কোভিড প্রজেক্টে আমরা আর নেই। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে হাসপাতাল। এ কারণে রোগীকে নিজেই চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে হবে। তাই ওই রোগীর কাছ থেকে দুই দিনের বিল রাখতে বাধ্য হয়েছি আমরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও