You have reached your daily news limit

Please log in to continue


দেশে ফেরার আকুতি সালাহ উদ্দিনের: নির্বিকার বিএনপি!

‘চেষ্টা করছি দেশে ফেরত যাওয়ার কিন্তু কোনোভাবেই হয়ে উঠছে না। কবে আদালত খুলবে, তাও অনিশ্চিত’–বলছিলেন ৫ বছরের বেশি সময় ধরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অপেক্ষায় থাকা বিএনপির পোড় খাওয়া রাজনীতিক সালাহ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার (৩০ মে) রাতে মুঠোফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি এ কথা বলেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান–তার শরীর ভালো নেই, আছে শারীরিক আরও জটিলতা। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে ভাড়া করা একটি কটেজেই একাকী জীবন কাটছে তার। ২০১৫ সালের ১১ মে থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে আছেন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ। আর তার আগের দুই মাস দেশের ভেতরেই ছিলেন নিখোঁজ। সব মিলিয়ে ৫ বছর ২ মাস ২১ দিন ধরে একা স্বাভাবিক জীবনের বাইরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কে ৪৯/বি নম্বর বাড়ির ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে র‌্যাব ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহ উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে। উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে দেশটিতে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহ উদ্দিন আহমেদ। পরে আবার ভারত সরকারপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, খুব স্বল্প কিছু কাজের মধ্য দিয়েই সময় কাটছে তার। কাজের মধ্যে ইবাদত, বইপড়া, একটু হাঁটাহাঁটি, মাঝে-মাঝে পরিবারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথাবার্তা–এইসব সুনির্দিষ্ট। শনিবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা হয় সালাহ উদ্দিন আহমেদের। শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল অবস্থায় আছি। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। অনেক কমপ্লিকেশন তো আছেই। এখানে আসার পর দুটো মেজর অপারেশনও হয়েছে। সব মিলিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছি।’ চিকিৎসা কীভাবে হচ্ছে জানতে চাইলে বলেন, ‘এখন তো সবকিছুই বন্ধ। আগে তো আদালতের অনুমতি নিয়ে বাইরে যেতাম, শিলংয়েও চিকিৎসা নিতাম। কিন্তু এখন তো সব লকডাউনে বন্ধ অনেকদিন।’ শিলংয়ে চিকিৎসা ও জীবনযাপনের আর্থিক পুরো বিষয়টি পারিবারিকভাবে করা হচ্ছে বলে জানান সালাহ উদ্দিন, বলেন; ‘এগুলো তো সবই নিজস্ব।’ বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমি তো প্রায় চার বছর ধরে আইনিভাবে লড়ছি। কোর্টের নির্দেশে তো জামিন পেয়েছি। আদেশ অনুযায়ী আমাকে ফেরত পাঠানোর কথা কিন্তু সেটা না করে আপিল করেছে ভারতের সরকার পক্ষ। আপিল করার পরও প্রায় দেড় বছর চলে গেছে। এখনও আপিল শুনানি ঠিকমতো শুরু হয় নাই। এরমধ্যে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আদালতের কার্যক্রম লকডাউনে বন্ধ। কবে হবে, আর কিছু বলা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন......।’ এক প্রশ্নের জবাবে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘এটা তো জানা কথা, বাংলাদেশ সরকারের কোনও আগ্রহ না থাকলে কোনও আপিল হয় না।’ সারাদিন কীভাবে সময় কাটে? এমন প্রসঙ্গে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সময় কেটে যায়, একটু পড়াশোনা করি, ইবাদত-বন্দেগী আর হাঁটাচলা করি। অনলাইন নিউজ-পেপার পড়ি।’ সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিনি তো ভালো নেই, শারীরিক-মানসিক সব দিক থেকেই অসুস্থ। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি দেশে আনতে। পাঁচ-ছয় বছর বিদেশে পড়ে আছেন, বুঝতেই পারছেন তার কী অবস্থা। এরমধ্যে এখন কোভিড-১৯ ভাইরাস। সব মিলিয়ে অসহনীয় পরিস্থিতি, মনে হয় কখনও বাঁচার আশাই ছেড়ে দিয়েছি।’ করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে শিলংয়ে স্বামী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দেখে এসেছেন হাসিনা আহমেদ। বলেন; ‘আগের মতো অবস্থায়ই আছে। আমাদের তো কিছু করার নেই’, বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন